বাংলাদেশসহ ৯ দেশকে সতর্ক করল এফএও

বাংলাদেশসহ ৯ দেশকে সতর্ক করল এফএও
MostPlay

খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বাংলাদেশসহ ৯টি দেশকে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। সংস্থাটির সবশেষ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ সতর্কবার্তা দেয়া হয়। এফএও জানায়, বাংলাদেশে চালের দাম গত এক বছরে ৩৫ শতাংশ বেড়েছে। উৎপাদনে ঘাটতি, সীমিত আমদানি ও করোনার প্রভাবে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দাম বেড়েছে। দাম নিয়ন্ত্রণে শুল্ক কমিয়ে আমদানি করলেও স্বস্তি আসছে না।

খাদ্যপণ্যের দাম স্বাভাবিক করতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে দেশগুলোকে পরামর্শও দিয়েছে এফএও। দেশের বাজারে চাল ছাড়াও তেল এবং মশলার দাম বেড়েছে গত কয়েক সপ্তাহে। তবে এ বিষয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার জানিয়েছেন, এফএও র সতর্কতার আগেই সরকার সজাগ রয়েছে।মজুদ বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশে চালের আমদানি বাড়ছে। আগামী মৌসুমে ভালোভাবে ধান সংগ্রহ হবে। এতে দেশে চালের দাম বাড়বে না বলেও আশা প্রকাশ করেন খাদ্যমন্ত্রী।

দেশে চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু করা হলেও কমেনি দাম, উল্টো কেজিতে বেড়েছে ২ থেকে ৩ টাকা। গত শুক্রবারে মিনিকেট চাল ২ টাকা বেড়ে ৬২ টাকা, নাজিরশাল তিন টাকা বেড়ে ৭৪ টাকা, আটাশ ৩ টাকা বেড়ে ৫২ টাকা, মোটা চালের দাম বেড়ে ৪৬ এবং স্বর্ণা ৩ টাকা বেড়ে ৪৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া গরুর মাংস ৫৮০ এবং খাসির মাংস ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে গত সপ্তাহের মতোই। তবে অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে সব ধরণের মুরগীর দাম। দেশি মুরগী ৩০ টাকা বেড়ে ৩৮০ টাকা। সোনালি ৪০ টাকা বেড়ে ২৮০ টাকা ব্রয়লার ১০ টাকা বেড়ে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চাষের মাছ ২০০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও, দেশি মাছের দাম বেড়েছে প্রকারভেদে ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password