ময়নুলের সঙ্গে বিতণ্ডা হয় ইউএনওর হামলার এক দিন আগে

ময়নুলের সঙ্গে বিতণ্ডা হয় ইউএনওর হামলার এক দিন আগে
MostPlay

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার ঘটনায় বেরিয়ে আসছে নতুন নতুন তথ্য। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার গ্রেফতার হওয়া আওয়ামী লীগ নেতা ময়নুল মাস্টারকে হামলার রাতে ৫ সহযোগীসহ দেখা গেছে উপজেলার ডুগডুগীহাটে। শুধু তাই নয়, হামলার এক দিন আগে একটি জমি দখলের ঘটনায় ইউএনওর সঙ্গে ঐ নেতার বাগিবতণ্ডা হয় বলে জানা গেছে।

গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা করা হয়। স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার পালশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ময়নুল মাস্টার সম্প্রতি ডুগডুগীহাটে একটি জায়গা ‘দখল’ করেন। এই জায়গা দখলকে কেন্দ্র করে ইউএনও ও ময়নুল মাস্টারের মধ্যে হামলার একদিন আগে বাগিবতণ্ডা হয়। গত ৩ সেপ্টেম্বর হাটের জায়গা থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার কথা ছিল ইউএনওর। উচ্ছেদের সময় ময়নুল মাস্টারকে নোটিশের মাধ্যমে উপস্থিত থাকার কথাও বলা হয়েছিল।

এদিকে জানা গেছে, হামলার রাতে সাড়ে ৩টার দিকে তিনটি মটরসাইকেলে চড়ে ময়নুল মাস্টারসহ ৬ জন রাণীগঞ্জ হাটের দিক থেকে ডুগডুগীহাটে পৌঁছান। এ সময় ডুগডুগীহাটের নাইটগার্ড দেওগ্রামের মৃত ফয়জ উদ্দিনের ছেলে আলম তাদের জিজ্ঞেস করেন, ‘এত রাতে আপনারা কোথা থেকে এলেন?’ ময়নুল গংরা তাকে এ বিষয়ে কারো নিকট কিছু বলতে নিষেধ করে এবং হুমকি দেয়। পরে ডুগডুগীহাট থেকে তারা নিজ নিজ বাড়িতে চলে যায়।

আলম এ কথা এতদিন ভয়ে কাউকে বলতে পারেনি। গতকাল বুধবার ডুগডুগীহাটে এক মানববন্ধন শেষে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান কবিরুল ইসলাম প্রধান অন্যের মুখে কথাটি জানতে পেয়ে তাকে ডেকে পাঠান। সেখানে প্রায় ১০-১৫ জনের কাছে সে রাতের ঘটনাটি খুলে বলে। কবিরুল ইসলাম প্রধান ও স্থানীয় ব্যবসায়ী আব্দুল ওহাব মোল্লা আলম মিয়ার দেওয়া বক্তব্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password