অসময়ে তরমুজ চাষে সাফল্য ঠাকুরগাঁওয়ে

অসময়ে তরমুজ চাষে সাফল্য ঠাকুরগাঁওয়ে
MostPlay

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার বকুয়া বটতলা দুলালপাড়া গ্রামে অসময়ে মাচায় তরমুজ চাষে সফলতা দেখিয়েছেন কৃষক গিয়াস উদ্দিন বাবু।জানা যায়, কৃষক গিয়াস উদ্দিন বাবু ২৫ শতক জমিতে বেরি জাতের তরমুজ চাষ করেন। অসময়ে উৎপাদন হওয়ায় এ তরমুজ বিক্রি করে তিনি ভাল দামও পাচ্ছেন। প্রতি কেজি ৬৫-৭০ টাকা মূল্যে তরমুজ বিক্রি করে তিনি এ পর্যন্ত আয় করেন ২ লাখ টাকা।

 বীজ বপনের আগে জমিতে চাষ-মই এবং সার দিয়ে জমিটি ৪ ফুট চওড়া মাচা দেন এবং বেড ও ড্রেন তৈরি করেন। এরপর ৫-৩ ফুট পর পর বীজ বপন করে পরিচর্যা করতে থাকেন। পরবর্তীতে গাছ একটু বড় হয়ে উঠলে বাঁশের বাতা আর সুতা দিয়ে মাচাও তৈরি করেন। ২৫ শতক জমিতে তরমুজ চাষ করতে তার খরচ হয়েছে ৩৫ হাজার টাকা।

কৃষক গিয়াস উদ্দিন বাবু বলেন, অসময়ে চাহিদা থাকায় ক্রেতারা মাঠ থেকেই তরমুজ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। ২৫ শতক জমিতে আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে বেরি জাতের তরমুজের বীজ বপন করি। অক্টোবরের মধ্যেই খাবার উপযোগী হয় এ তরমুজ। অসময়ে এই বেরি জাতের তরমুজ বিক্রি করে আরও লাভের আশা করছেন তিনি।

হরিপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মারুফ হোসেন জানান, গিয়াস উদ্দিন বাবু আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে বেরি জাতের এ তরমুজের বীজ বপন করেন। ঠিকঠাক পরিচর্যার কারণে কৃষক গিয়াসউদ্দিন এখন এর সুফল ভোগ করছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আফতাব হোসেন জানান, এটি একটি ভালো উদ্যোগ। দু মাসের মাথায় গিয়াস উদ্দিনের এ জাতের তরমুজ খাবার উপযোগী হয়ে যায়। অসময়ের এ তরমুজ খেতে বেশ মিষ্টি ও সুস্বাদু হওয়ায় ভোক্তাদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হবে এ তরমুজ।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password