তিনবার বিয়ে ভাঙা নিয়ে আক্রমণ শ্রাবন্তীকে

তিনবার বিয়ে ভাঙা নিয়ে আক্রমণ শ্রাবন্তীকে
MostPlay

সম্প্রতি বিজেপির বড় নেতাদের উপস্থিতিতে দলীয় পতাকা হাতে তুলে নিয়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্নেহের পাত্রী শ্রাবন্তী। 

যোগদানের চব্বিশ ঘণ্টা পর মঙ্গলবার টুইট বার্তায় শ্রাবন্তী ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনি তুলে জানালেন- ‘একজন মা এবং নারী হিসেবে চাইব আমাদের সবার সন্তান যেন ‘সোনার বাংলা’ তে বড় হয়ে উঠুক’। 

টালিগঞ্জের রুপালি রঙ ধীরে ধীরে নয় সবুজ, নয় তো গেরুয়া হয়ে যাচ্ছে। একুশের বিধানসভা ভোটের আগে ‘মুড়ি-মুড়কি’র মতো তারকারা নাম লেখাচ্ছেন রাজনৈতিক দলে। কেউ যাচ্ছেন ঘাসফুলে, আবার অনেকেই পরিবর্তনের ডাক দিয়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাচ্ছেন। তবে অভিনেত্রীরা রাজনীতির ময়দানে নামলেই ট্রোলের মুখে পড়ছেন। 

তাঁরা কেবল সুন্দরী, মেক-আপ করে পর্দায় গ্ল্যামার বাড়ানোই তাঁদের কাজ- এই মানসিকতাই সর্বত্র। উনিশের লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূলের প্রার্থী হয়ে ট্রোলড হয়েছিলেন মিমি-নুসরত। বিজেপির বিধানসভার সম্ভাব্য প্রার্থী শ্রাবন্তী রাজনীতির ময়দানে নামতেই শুরু হয়ে গেল তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি।

সদ্যই তৃতীয় বিয়ে ভাঙার কারণে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থেকেছেন নায়িকা। শ্রাবন্তী রাজনীতিতে আসার পর থেকে ভাঙা বিয়ে নিয়ে নানান কুরুচিকর মন্তব্যের মুখে পড়তে হচ্ছে নায়িকাকে। 

প্রকাশ্যেই একজন টুইট করেছেন,  ম্যাডাম বিন্দুতে সিন্ধু হয়,আগে তো একটা সোনার ঘর বানাতে হবে তবে তো রাজ্য সোনার বানাবেন। সোনার ঘর তো দূর আপনি তো শুধু ঘর বাঁধতে গিয়ে তিন বার ডাহা ফেল।

যশ দাশগুপ্ত থেকে হিরণ, সাম্প্রতি গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছেন টলিপাড়ার বহু পুরুষ সদস্য, তাঁদের আক্রমণ করা হলেও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আক্রমণ শানানো হয়নি।

বিরোধী দলের সদস্যা হলেও, শ্রাবন্তীকে দীর্ঘদিন ধরে চেনেন পরিচালক সুদেষ্ণা রায়। এই মর্মে এক সাক্ষাৎকারে পরিচালক জানিয়েছেন, ‘শ্রাবন্তীকে যে ভাবে ট্রোল করা হচ্ছে, তা একেবারেই সমর্থন করি না। একই ঘটনা মিমি-নুসরাতের সঙ্গে ঘটেছে যখন ওঁরা রাজনীতিতে এসেছিল। কারও বিরোধিতা করার অর্থ ব্যক্তিগত আক্রমণ নয়’। 

আজও কি আমাদের সমাজ তথাকথিত পুরুষপ্রধান বলেই মেয়েদের চরিত্র নিয়ে এই ধরণের মন্তব্য? প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে। 

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password