ঈদের পরের দিনেও বাড়ি যেতে মানুষের ঢল শিমুলিয়া ফেরিঘাটে

ঈদের পরের দিনেও  বাড়ি যেতে মানুষের ঢল শিমুলিয়া ফেরিঘাটে
MostPlay

নাড়ির টানে বাড়ির পানে। এ যেন অন্য রকম আকর্ষণ। মায়ার বাঁধনে বাঁধা থাকা গ্রামকে কেউ ভুলে থাকতে পারে না। ভুলে থাকতে পারে না আপনজনদেরকে। আর তাই শহরের কর্মব্যস্ততা থেকে একটু অবসর পেলেই সবাই ছুটে চলে গ্রামের টানে।

কিন্তু হায় এই যাওয়া আনেকেরই যাত্রাতে পরিণত হয়। মাত্র ২ দিন আগে শিমুলিয়া ফেরিঘাটে ৬ জন ফেরির হুড়োহুড়িতে মারা গেল। একজন ড্রাইভারের লাশ পাওয়া গেলো তার মারা যাওয়ার ২ দিন পর। গতকাল সারাদেশে উৎযাপিত হয়ে গেলো পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর। কিন্তু বাড়ি ফেরা যেন শেষ হয়েও শেষই হচ্ছে না।

ঈদের পরের দিনেও মুন্সীগঞ্জের মাওয়া-শিমুলিয়ায় দেখা যাচ্ছে জনস্রোত। কোনোভাবেই থামছে না এই ঢল। চিরচেনা মাওয়া ফেরিঘাটে বাড়ি যাওয়া মানুষের চাপে আবার জনস্রোত নেমেছে। এমনটি দেখা গেছে শনিবার সকাল থেকে সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত। এমনকি মাওয়া শিমুলিয়া ঘাটে ঈদের দিনেও ঘরমুখো মানুষের চাপ ছিল। যারা নানা কারণে যাত্রা করেননি বা ফিরে গেছেন, তারাই পদ্মা পার হয়েছেন শুক্রবার।

সামনে আরো সাত দিনের লকডাউন থাকতে পারে, এমন আশঙ্কায় ওই বিধিনিষেধের আগেই বাড়িতে যেতে চাচ্ছেন এই সকল যাত্রীরা।

এদিকে বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটের বহরে আরো দুটি ফেরি যুক্ত হয়েছেঃ “রোরো ফেরি বীর শ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর” ও “ডাম্প ফেরি রাণীক্ষেত”। ঈদের দিন বহরের ১৮ টি ফেরি সচল ছিল। আজ শনিবার ১৪টি ফেরি চলাচল সচল রয়েছে বলে ফেরি কতৃপক্ষ থেকে জানা গেছে।

বিআইডব্লিউটিসির ম্যানেজার আহাম্মদ আলী জানান বিডি টাইপকে জানান, “ঈদের দিনও ঘরমুখো মানুষকে পার করা হয়েছে। একটি ফেরি ছেড়েছে শুধু যাত্রী নিয়ে। বেশ কিছু গাড়িও পার করা হয়েছে”।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password