বাংলাদেশি সহেলিকে হারিয়ে পাকিস্তানে পাগলপ্রায় হাতি

বাংলাদেশি সহেলিকে হারিয়ে পাকিস্তানে পাগলপ্রায় হাতি
MostPlay

পাকিস্তানের নিঃসঙ্গতম হাতি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিল কাভান। উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করায় দিনের বড় একটা সময় তাকে বেঁধে রাখা হত। ২০০২ সাল থেকে কাভান ঝামেলা শুরু করলেও নিয়ন্ত্রণে বাইরে চলে যায় ২০১২ সালে। কারণ ওই বছর তার বাংলাদেশি সঙ্গী হাতি সহেলি মারা যায়। ৩৫ বছর হাতিটিকে সম্প্রতি মুক্তি দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত। সবকিছু ঠিক থাকলেই এ মাসেই সে চলে যাবে কম্বোডিয়ায়। সেখানে অভয়ারণ্যে রাখা হবে কাভানকে।

শ্রীলঙ্কার সরকার উপহার হিসেবে কাভানকে পাকিস্তানে পাঠিয়েছিল। তাকে রাখা হয়েছিল ইসলামাবাদের মারঘজা চিড়িয়াখানায়। সঙ্গী মারা যাওয়ায় একা একা কাটছিল তার দিন। চিড়িয়াখানার কর্মীরা নাকি তা খাবারও চুরি করেছিল। বণ্য শুকুররাও মাঝে মাঝে তার ফলমূল ও অন্যান্য খাবার খেয়ে ফেলত। এতে পানিশূন্যতা দেখা দেয় কাভানের শরীরে। পরে তাকে মুক্তি দেওয়ার দাবি উঠে।কাভানকে মুক্ত করতে পপতারকা চে আদালতে পর্যন্ত গেছেন। চলতি বছরের মে মাসে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট কাভানের পক্ষে রায় দিয়ে জানায়, তাকে উন্নত পরিবেশে নিতে হবে।

শ্রীলঙ্কা সরকার ১৯৮৫ সালে কাভানকে উপহার হিসেবে পাকিস্তানে পাঠায়। ওই সময় তার বয়স ছিল এক বছর। শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রতীক হিসেবে সাবেক জেনারেল জিয়া-উল-হক হাতিটি গ্রহণ করেন। কাভানের সঙ্গী হিসেবে সহেলিকে ১৯৯০ সালে বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানে নেওয়া হয়। সহেলি মারা গেলে কাভানের আচরণ বেশি খারাপ হতে থাকে। এক সময় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ তাকে শিকল পরায়। চিকিৎসকরা বলেছেন, হাতি দলবদ্ধ হয়ে থাকতে পছন্দ করে। একাকী হয়ে পড়ায় কাভান মানসিকভাবে ভালো অবস্থায় নেই। 

কাভানের পরবর্তী গন্তব্য কম্বোডিয়ার অভয়ারণ্য। সেখানে আরও ৮০টি প্রাণীর সঙ্গী হবে সে। তাকে দেখভাল করবেন প্রাণী বিশেষজ্ঞরা। কাভানকে নিতে কম্বোডিয়া ইতিমধ্যে বিশেষ একটি যানবাহন তৈরি করেছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password