সেতুতো নয় যেন মরন-ফাঁদ, প্রতিদিন পাড়ি দেয় হাজারো মানুষ !!

সেতুতো নয় যেন মরন-ফাঁদ, প্রতিদিন পাড়ি দেয় হাজারো মানুষ !!
MostPlay

ঝুঁকিপূর্ন সেতু পাড়ি দিয়ে প্রতিদিন শেরপুরের নকলা উপজেলা  হাজারের অধিক মানুষ কে ব্রহ্মপুত্র নদী পাড়ি দিয়ে বিভিন্ন উপজেলায় জীবনের তাগিদে চলাচল করতে হয়।শেরপুরের নকলা উপজেলা ৮ নং চর অষ্টধর ইউনিয়নের নারায়ণখোলা নৌকা ঘাটে যেতে হলে যাত্রীদের নিতে হয় চরম ঝুঁকি। ২০১৪ সালে প্রায়  ২৬ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় এই ব্রিজ। ৩ বছর আগে বন্যায় নারায়খোলা নৌকা ঘাটের যাওয়ার একমাত্র ব্রিজটি ৩ পিলারের মধ্যে ২ পিলার  ভেঙে হেলে পড়ে। এরপর স্থানীয় ইজারাদার নদীর ঘাটে যাওয়ার ব্রিজটির দুই পাশে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে তিনটি কাঠের সেতু নির্মাণ করে যাত্রীদের সুবিধার্থে।

ঐ ব্রিজ পার হতে যাত্রীদের নিতে হয় মৃত্যু ঝুঁকি। ইতিমধ্যেই ছোট বড় বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে ঐ সেতুতে। নারায়খোলা ঘাটের ইজারাদার লাভলু মিয়া জানান,প্রায় ১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ঐ কাঠের ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছে আমাদের ব্যক্তিগত টাকা দিয়ে। সরকারী ভাবে ঘাট ইজারা দেওয়া হয়েছে ১৬ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। নৌকার মাঝি সরোয়ারদী বলেন প্রতিদিন নকলা হতে ময়মনসিংহ , পিয়ারপুর ,মুক্তাগাছা, জামালপুর সহ বিভিন্ন অঞ্চলের  প্রায়  দেড় থেকে ২ হাজার লোকের চলাচল করে এই সড়ক পথে।

ঈদের সময়  চাপ থাকে কয়েক গুন বেশি কারন পিয়ারপুর রেল স্টেশন থেকে নকলা নালিতাবাড়ী সহ বিভিন্ন অঞ্চলের যাত্রীরা এই সড়ক পথ ব্যবহার করে গন্তব্যে পৌঁছায়। ব্রিজটি ভেঙে যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তাই ব্রিজটি ভেঙে নতুন ব্রিজ করা উচিত। নকলা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সারোয়ার আলম তালুকদার ঐ ব্রিজ পার হতে যাত্রীদের ঝুঁকির কথা স্বীকার করে জানান, ব্রিজটি ভেঙে নতুন ব্রিজ করার জন্য আমরা ইতিমধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার সাথে কথা হয়েছে । নকলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুর রহমান বলেন আপাতত ঐ ভাঙ্গা ব্রিজটির দুপাশে মাটি ভরাট করার জন্য চেয়ারম্যান কে বলা হয়েছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password