নওগাঁ নিয়ামতপুর ‘ঘুঘু ডাঙ্গা’ ঈদে বিনোদন প্রেমিদের উপচে পড়া ভিড়

নওগাঁ নিয়ামতপুর ‘ঘুঘু ডাঙ্গা’ ঈদে বিনোদন প্রেমিদের উপচে পড়া ভিড়

কালের বিবর্তনে তালগাছ হারিয়ে গেলেও নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুরের ঘুঘু ডাঙ্গায় এখন কালের সাক্ষী হয়ে শত শত তালগাছের সারি রাস্তার দুই ধারে সৌন্দর্যবর্ধন করে যাচ্ছে৷

উপজেলার হাজিনগর ইউনিয়নের ছোট্ট একটি গ্রাম ‘ঘুঘুডাঙ্গা’ হাজিনগর গ্রাম থেকে ঘুঘুডাঙ্গা গ্রামে যাওয়ার পথে হাজিনগরের মজুমদার মোড় থেকে ঘুঘুডাঙ্গা পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তার দুই ধারে প্রায় ৬০০ তালগাছ দাঁড়িয়ে আছে যাহা প্রতিদিন শত শত বৃক্ষপ্রেমী ও ভ্রমণ পিয়াসীরা আসেন এই তালগাছ দেখতে।

অাজ ঈদের ২য় দিনেও হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমাচ্ছে এই ঘুঘু ডাঙ্গায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিয়ামতপুর, সাপাহার ও পোরশা উপজেলা বরেন্দ্র অঞ্চল হওয়ায় বৃষ্টিপাত কম হয় তার পরেও আগে প্রচুর বড় বড় তালগাছ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে ছিল কিন্তু মানুষের প্রয়োজনে গাছগুলো কেটে ফেলে ফলে সেই সময় তালগাছ গুলো বরেন্দ্র এলাকা থেকে প্রায় হারিয়ে গিয়েছিল।

বর্তমানে স্থানীয় জনসাধারণ ও বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে এই এলাকা থেকে তালগাছ সহ অন্যান্য বড় বড় গাছ হারিয়ে যাওয়ায় বজ্রপাত বেড়ে গিয়ে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নিয়ামতপুর হাজিনগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এবং বর্তমান বাংলাদেশের খাদ্যমন্ত্রী ও নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং নওগাঁ-১ আসনের সংসদ সদস্য সাধন চন্দ্র মজুমদার ১৯৮৩ সালে পরিষদের দায়িত্ব পালনকালে হাজিনগরের মজুমদার মোড় থেকে ঘুঘুডাঙ্গা পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তার দুই ধারে (বিএমডিএ) এর পরিচালনায় প্রায় ৭০০ তাল বীজ রোপণ করেন৷

সেই থেকে মহাদেবপুর উপজেলার শিকারপুর গ্রামের মৃত গহের আলী ২০ বছর ধরে একক প্রচেষ্টায় মজুমদার মোড় থেকে ঘুঘুডাঙ্গা পর্যন্ত সারিবদ্ধ তালগাছ এবং নওগাঁ -রাজশাহী মহাসড়কের নওহাটা থেকে বেলি ব্রিজ এলাকা ও রাস্তাসহ আশেপাশে রাস্তায় প্রায় ১২ হাজার তাল গাছ রোপন করেন এবং অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে তালগাছ গুলি বড় করে তুলেন যাহা বর্তমানে ভ্রমনকেন্দ্র ও ঐতিহাসিক স্থান হিসেবে পরিচিতি।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password