কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে বুধবার সন্ধ্যায় আকস্মিক এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। হাসপাতালের নিচতলার একটি পরিত্যক্ত কক্ষে রহস্যজনক এ আগুন লাগে। এ সময় চিকিৎসার অভাবে গোলবাহার বেগম (৭০) নামের এক মুমূর্ষু রোহিঙ্গা নারী রোগী মারা গেছেন। উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে আনা হয়েছিল হাসপাতালে। অক্সিজেনের অভাবে তার মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে। এ সময় ছোটাছুটির করতে গিয়ে আহত হন অন্তত ২০ জন।
নিহত রোহিঙ্গা নারী গোলবাহার বেগমের সাথে থাকা তার নাতি ফরিদ আলম জানান, আগুন ধরার খবরে হাসপাতালে থাকা রোগী ও স্বজনরা দিগ্বিদিক ছুটতে থাকে। এ সময় গোলবাহারের মুখে অক্সিজেন ছিল। তাকেও হাসপাতাল থেকে বের করার সময় অক্সিজেন খুলে যায়। পরক্ষণেই তার মৃত্যু ঘটে।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটিকে অনেকেই নাশকতা বলে সন্দেহ করছে। হাসপাতালের পূর্ব পাশে রাস্তা থেকেই সন্ধ্যায় পরিত্যক্ত কক্ষের জানালা দিয়ে আগুন লাগিয়ে থাকতে পারে বলে হাসপাতাল এলাকার বাসিন্দারা ধারণা করছেন। কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান বিডিটাইপকে বলেন, অগ্নিকাণ্ড নিয়ে আমরাও সন্দিহান হয়ে পড়েছি। কেউ কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে আগুন লাগিয়েছে কি-না তা মাথায় রেখেই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তিনি জানান, অগ্নিকাণ্ডের সাথে সাথেই পাঁচতলা বিশিষ্ট হাসপাতালের কয়েক শ রোগী নিরাপদে সরিয়ে ফেলা হয়। তাদের সবাইকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। মৃত্যুর শিকার রোহিঙ্গা নারী গোলবাহার আগুনের কারণে মারা যাননি বলে সিভিল সার্জন জানান।
অগ্নিকাণ্ডে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ব্যাপক সরঞ্জামাদি নষ্ট হয়েছে। এ ছাড়াও হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংক, ইসিজি কক্ষ ও অক্সিজেন সরবরাহ লাইন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
খবর পেয়ে কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট তাৎক্ষণিক আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি। কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মো. আবদুল্লাহ জানান, খবর পেয়ে কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কিভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে এবং ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে তিনি জানাতে পারেননি।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন