দূরপাল্লার বাস চালুর দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি

দূরপাল্লার বাস চালুর দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি
MostPlay

আন্তঃজেলাসমুহের বাস চলছে সীমিত আকারে। বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার বাস চলাচল। রাজধানী ঢাকার সায়েদাবাদ, মহাখালী বাস টার্মিনালসহ ৬৪ জেলার টার্মিনালগুলোয় অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন পরিবহন শ্রমিক ও মালিকেরা। তাদের দাবি দুরপাল্লার বাস চলাচলের অনুমতি দেওয়া হোক।

ঈদের দিন আজ শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর টার্মিনালসহ জেলার টার্মিনালে একযোগে পরিবহন শ্রমিক ও মালিকেরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বিডি টাইপকে বলেন, “করোনায় সরকারি বিধিনিষেধে ৩৭ দিন ধরে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ। এতে করে আয় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরিবহন সেক্টরে জড়িত কয়েক লাখ শ্রমিক মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে দূরপাল্লার বাস চালুর দাবিতে সায়েদাবাদ, মহাখালী, গাবতলীসহ দেশের সব জেলার টার্মিনালে পরিবহন শ্রমিক ও মালিকপক্ষের লোকজন অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। অবিলম্বে দূরপাল্লার বাস চলাচলের অনুমতি দিতে হবে”।

অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া পরিবহন শ্রমিক ও মালিকপক্ষের লোকজন বলছেন, “করোনায় গত বছর টানা ৬৬ দিন গণপরিবহন চলাচল বন্ধ ছিল। তখন বেকার হয়ে পড়া পরিবহন শ্রমিকেরা সংসার চালাতে গিয়ে হিমশিম খান। অনেকে ঠিক সময়ে ঘরভাড়াও দিতে পারেননি। আবার গত ৫ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া লকডাউনে ৩৭ দিন দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ। আবারও বেকার হয়ে পড়েছেন লাখ লাখ শ্রমিক। আয় না থাকায় অনেক শ্রমিক মানবেতর জীবন যাপন করছেন”।

অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া সায়েদাবাদ আন্তঃজেলা ও নগর বাস টার্মিনাল শ্রমিক কমিটির কার্যকরী সভাপতি জলিলুর রহমান বিডি টাইপকে বলেন, “ঢাকাসহ জেলার মধ্যে বাসসহ অন্যান্য পরিবহন চলছে। কিন্তু দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ ৩৭ দিন ধরে। ঈদের আগে আমরা দেখলাম, ফেরিঘাটে ন্যূনতম স্বাস্থ্যবিধি না মেনে হাজার হাজার মানুষ গাদাগাদি করে বাড়ি ফিরে গেছে। শত শত মানুষের ভিড়ে মারাও গেছেন কয়েকজন। এই মানুষগুলো আবার গাদাগাদি করে এভাবে ফিরবে। অথচ যদি দূরপাল্লার বাস অর্ধেক যাত্রী নিয়েও চলাচল করার সুযোগ পায়, তাহলে যাত্রীদের এভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আসতে হবে না। সেক্ষেত্রে খরচও কম লাগবে। আমরা বেকার হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি। অবিলম্বে দূরপাল্লার বাস চলাচলের অনুমতি দেওয়ার দাবি করছি”।

দূরপাল্লার বাস চালুসহ গণপরিবহনের মালিকদের সহজ শর্তে পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা দেওয়াসহ পাঁচ দফা দাবিতে আজ শুক্রবার অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি, বাংলাদেশ বাস ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন।

শ্রমিকেরা তাদের দাবিতে উল্লেখ করেন, “সারা দেশে বাস ও ট্রাক টার্মিনালগুলোতে ১০ টাকায় ওএমএসের চাল বিক্রি করতে হবে। করোনায় গণপরিবহন ব্যবসায় অর্থ বিনিয়োগের বিপরীতে সব ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণের সুদ মাফ ও কিস্তি আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করতে হবে। সেই সঙ্গে ২ শতাংশ ডাউনপেমেন্ট নিয়ে ক্ল্যাসিফায়েড ঋণগুলো আনক্ল্যাসিফায়েড করার জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে এবং তা বাস্তবায়ন করতে হবে”।

এ ছাড়া গাড়ির ট্যাক্স টোকেন, রুট পারমিটসহ সব ধরনের ফি মাফ করে দেওয়ার কথা তারা জানিয়েছেন। সেই সাথে যাবতীয় কাগজ হালনাগাদ করার জন্য ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দিতে হবে বলে তারা শর্ত আরোপ করেন।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password