দায়িত্ব পেয়েছেন এক মাসও হয়নি, কিন্তু মন্ত্রিসভা গঠন সংক্রান্ত জটিলতায় পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন লেবাননের প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফা আদিব। চলতি মাসের এক তারিখে তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, সরকার গঠনের প্রক্রিয়া থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। এর ফলে চূড়ান্ত সঙ্কটে পড়লো লেবানন।
গত ৪ আগস্ট দেশটির বৈরুত বন্দরে এক ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় অন্তত ১৯০ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ৬ হাজারেরও বেশি মানুষ। বিস্ফোরণের কারণে শহরের প্রায় অর্ধেকরা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। এসব কারণে সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে সাধারণ মানুষ। একের পর এক উঠতে থাকে দুর্নীতির অভিযোগ। এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীসহ পুরো মন্ত্রীসভা পদত্যাগ করে।
সেই সঙ্কট থেকে উত্তরণের জন্য দেশটির সংসদ সদস্যরা ভোটাভুটির মাধ্যমে কূটনীতিক মুস্তাফা আদিবকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বাছাই করেন। শুধু লেবানন নয়, সারা বিশ্ব তাকিয়েছিল নতুন এই প্রধানমন্ত্রী দিকে। খাদের কিনারায় চলে যাওয়া দেশকে কীভাবে তিনি টেনে তোলেন, সেটাই দেখার অপেক্ষায় ছিল সবাই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নতুন প্রধানমন্ত্রীও হাল ছেড়ে দিলেন।
মোটাদাগে দেশটিতে ৩টি রাজনৈতিক শক্তি সক্রিয়- সুন্নি মুসলমান, শিয়া মুসলমান এবং খ্রীষ্টান। নিয়মানুযায়ী প্রধানমন্ত্রী হবেন একজন সুন্নি মুসলমান, প্রেসিডেন্ট পদ পাবেন খ্রিষ্টান এবং স্পিকার পদ যাবে শিয়া মুসলিমদের কাছে। এই জটিলতাই মুস্তাফা আদিবের কাজকে আরো কঠিন করে তুলেছিল। অর্থমন্ত্রী হিসেবে তিনি যাকে নিতে চান তাতে চান না শিয়া সমর্থিতরা।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন