কুড়িগ্রামে অ্যাম্বুলেন্সে গৃহবধূর লাশ রেখে পালিয়ে গেলেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন

কুড়িগ্রামে অ্যাম্বুলেন্সে গৃহবধূর লাশ রেখে পালিয়ে গেলেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন
MostPlay

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অ্যাম্বুলেন্সে রহিমা খাতুন (২২) নামের এক গৃহবধূর লাশ রেখে পালিয়ে গেছেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। বুধবার দুধকুমর নদীর কালীগঞ্জ ঘাটে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত রহিমা উপজেলার রামখানা ইউনিয়নের দক্ষিণ রামখানা কলোনিটারী গ্রামের বেলাল হোসেনের মেয়ে।
নিহতের বাবা বেলাল হোসেন জানান, ছয়বছর আগে কচাকাটা ইউনিয়নের কামারের চর গ্রামের মন্তাজ হোসেনের ছেলে আলী হোসেনের (৩০) সঙ্গে বিয়ে হয় রহিমা খাতুনের (২২)। দাম্পত্য জীবনে তাদের তার চার বছরের একটি মেয়ে ও দেড় বছরের একটি ছেলে রয়েছে।

তিনি আর বলেন, তিনদিন আগে পারিবারিক বিষয়ে রহিমার সঙ্গে আলী হোসেন ও তার পরিবারের অন্যান্যদের কলহ হয়। এরপর রহস্যজনকভাবে রহিমার অসুস্থতার কথা বলে মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) গভীর রাতে তাকে নাগেশ্বরী হাসপাতালে নেয়া হয়।তবে সেখানে ভর্তি করার আগেই রহিমা মারা যান। এরপর বুধবার তারা রহিমার মরদেহ দুধকুমর নদীর কালীগঞ্জ ঘাটে ওই অ্যাম্বুলেন্সে রেখে পালিয়ে যান।

নাগেশ্বরী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইফুল জানান, বুধবার সকালে সংবাদ পেয়ে কালীগঞ্জ ওয়াপদা ঘাটে গিয়ে অ্যাম্বুলেন্সসহ মরদেহ থানায় নিয়ে আসি। পরে নিহতের বাবার অভিযোগের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না, এটি হত্যাকাণ্ড না আত্মহত্যা।
নাগেশ্বরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত পলাশ চন্দ্র মন্ডল বলেন, যেহেতু ভুক্তভোগীর বাড়ি কচাকাটা থানায়, সেহেতু এ বিষয়ে কোনো মামলা হলে সংশ্লিষ্ট থানায় হবে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password