বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে খুব ভালোবাসি কিন্তু আমিতো খাবো তারপর তো জল দেবো

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে খুব ভালোবাসি কিন্তু আমিতো খাবো তারপর তো জল দেবো
MostPlay

দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ এবং ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মধ্যে যেনো গলার কাঁটা হয়ে আটকে আছে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি। দুই দেশের কূটনৈতিক অবস্থানের মধ্যে বলা চলে একপ্রকার বাধা হয়ে আছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে কারণে তিস্তার পানি নিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তিতে উপনীত হতে পারছেনা গত প্রায় এক দশক ধরে। সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের ঢাকা সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সাথে বৈঠকের পর তিস্তাচুক্তির বিষয়টি উঠলে তিনি জবাবে জানিয়েছিলেন, তিস্তাচুক্তি নিয়ে ভারত সরকার তার আগের অবস্থানেই রয়েছে।

এদিকে, আগামী ২৬ মার্চ বাংলাদেশ সফরে আসবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা, বাংলাদেশ সফরে মোদি তিস্তাচুক্তি নিয়ে  কোন ইতিবাচক কথা বলতে পারেন, দিতে পারেন কোন আশ্বাস। কিন্তু মমতা যতোদিন পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় রয়েছেন ততোদিন বাংলাদেশের মানুষকে তিস্তাচুক্তি নিয়ে কোন ধরনের প্রতিশ্রুতি বা আশ্বাস দিয়ে যে কোনো লাভ হবে না সেটা রবিবার শিলিগুড়িতে আসন্ন পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে দেয়া এক বক্তব্যে আবারো পরিষ্কার করে দিয়েছেন মমতা।

টেলিগ্রাফের খবরে বলা হয়- তিস্তা চুক্তি নিয়ে কংগ্রেস এর আমল থেকেই বাংলাদেশের সাথে ভারতের কথা চলে আসলেও শিলিগুড়ির ভাষণে মমতা মোদিকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করে জানান, পশ্চিমবঙ্গের চাহিদা মেটানোর পরই কেবল বাংলাদেশ তিস্তার পানি পাবে। মমতা বলেন "...হঠাৎ করে বলে তিস্তার জল দিয়ে দাও। আরে ভাই, রাজ্যকে জিজ্ঞেস করলে না।আমার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক সবচেয়ে ভালো। আমি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে শ্রদ্ধা জানাই, সালাম জানাই, খুব ভালোবাসি। একটা রাজ্য সরকার আছে। তুমি হঠাৎ গিয়ে বলে আসছ, আমার রাজ্যটাকে বিক্রি করে দেবে? বাব্বা, ওত সস্তা নয় ভাই, ওত সস্তা নয়।"

এরপর মমতা জোর গলায় চেঁচিয়ে হিন্দি মিশিয়ে বলেন, "তিস্তা উত্তরবঙ্গের হিস্যা (তিস্তা উত্তরবঙ্গের অংশ), বাংলার হিস্যা (বাংলার অংশ)। এ আপকো ইয়াদ হোনা চাহিয়ে (আপনার এটা মনে রাখতে হবে)। আমিতো বলিনি জল দেব না। কিন্তু আমিতো খাবো, তারপরতো জল দেব। আমার ঘরে থাকবে তারপরেতো আমি দেব।"

উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বরে যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং নরেন্দ্র মোদি ভার্চুয়াল দ্বিপাক্ষিক সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন, তখনও প্রধানমন্ত্রী মোদির কাছে আবারো তিস্তাচুক্তির বিষয়টি উত্থাপন করেছিলেন।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password