আল-জাজিরা টেলিভিশনে রাষ্ট্রবিরোধী প্রচারণা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

আল-জাজিরা টেলিভিশনে রাষ্ট্রবিরোধী প্রচারণা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন
MostPlay

আজ ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ শনিবার সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘বিকাশের অর্থ সহায়তায় জড়িত থাকার তদন্তপূর্বক শাস্তি ও আল-জাজিরা টেলিভিশনে রাষ্ট্রবিরোধী প্রচারণা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন’ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সামছুল আলমের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক হারুন চৌধুরী, পিডিপি’র ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ খান, কৃষক শ্রমিক পার্টি (কেএসপি) এর সভাপতি মোঃ সিরাজুল হক, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সহ-সভাপতি কমরেড আলী হোসেন প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, “আমরা প্রায়শই দেখতে পাচ্ছি বড় বড় কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো ট্রান্সফার প্রাইসিং এর জনপ্রিয় পেমেন্ট মাধ্যম বিকাশ বাংলাদেশের একটি বৃহৎ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। যাদের ব্যবসা ও রাজস্ব উত্তোরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০১৫, ২০১৬, ২০১৭ ও ২০১৮ সালে কোম্পানীটির নীট মুনাফা ছিল যথাক্রমে ২৪ কোটি, ৩৪ কোটি, ৪৮ কোটি ও ১৯ কোটি টাকা। অথচ কোম্পানীটির রাজস্ব আয় ২০১৭ সালে ছিল ১৭১৫ কোটি, ২০১৮ সালে ২১৮০ কোটি ও ২০১৯ সালে ২৪১৬ কোটি টাকা। অপরদিকে কোম্পানীটি ২০১৯ সালে প্রতি লেনদেনে ৫০০ টাকা হারে নতুন ভাবে চার্জ আরোপ করেছে ও বিভিন্ন ধরণের বিল পেমেন্টের ক্ষেত্রে ১০-২০ টাকা চার্জ আদায় করছে। যার ফলে এদের শুধু সেন্ড মানি ও বিল-পে সেবা থেকেই কোম্পানীটির বছরে ৪০০ কোটি অতিরিক্ত আয় হচ্ছে। এরূপ উত্তোরোত্তর ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির পরও কোম্পানিটির লোকসান দেখানো সত্যিই সন্দেহ জনক।”

বক্তারা আরো বলেন, “সম্প্রতি আল-জাজিরা টেলিভিশন কর্তৃক সম্প্রচারিত রাষ্ট্রবিরোধী প্রচারের সাথে বৃটিশ বংশোদ্ভূত নাগরিক ও সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যান ও নেত্র নিউজের বাংলাদেশী সাংবাদিক তাসনীম খলিল মূল ভূমিকা পালন কারণ মর্মে দেখা গেছে। একাত্তর টেলিভিশন কর্তৃক ১৮/০২/২০২১ তারিখে প্রচারিত একাত্তর জার্নাল এর আলোচনায় উল্লেখ করা হয় বিকাশ সফটওয়্যার/অ্যাপ কেনার নামে ৫০০-৭০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। একই রিপোর্টে দেখানো হয়ছে বিকাশ এর মূল প্রতিষ্ঠাতা প্রতিষ্ঠান মানি ইনমোশন এর তিনজন সত্ত্বাধিকারী হলে সিইও কামাল কাদির, তার বড় ভাই এবং সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যান।

অপরদিকে অপর সাংবাদিক তাসনীম খলিল এর সাথেও বিকাশ ও সিইও কামাল কাদির এর সম্পৃক্ততা ও অর্থনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা দৃষ্টান্ত পাওয়া গেছে। এ প্রেক্ষিতে বিকাশে ক্রমাগত রাজস্ব বৃদ্ধি সত্ত্বেও হঠাৎ করে লোকসান দেখনো ও ৫০০ কোটি টাকা পাচার সংক্রান্ত বিষয়টি মনে হচ্ছে একই সুতোয় গাঁথা। অর্থাৎ সফটওয়্যার/অ্যাপ কেনা মালিকানার রয়্যালিটি ইত্যাদি খাতে অতিরিক্ত অর্থ পাচারের মাধ্যমে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যান ও তাসনীম খলিল গংদের রাষ্ট্র বিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের অ্যাপ কেনা, মালিকানার রয়্যালিটি ইত্যাদি মতে অতিরিক্ত অর্থ পাচারের মাধ্যমে অর্থসংস্থানে বিষয়টি বিকাশ কর্তৃক সংগঠিত হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। সর্বোপরি বলবো, এক হাতে তালি বাজে না। রাষ্ট্রের মধ্যে কর্মরত ষড়যন্ত্রকারী বলবৎ আছে। তাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।”

তারা বলেন, “যাদের নামে আল-জাজিরা টেলিভিশন রিপোর্ট প্রচার করেছে তাদের চিহ্নিত করে অপরাধী প্রমাণিত হলে তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনতে হবে। কেন না সকল নাগরিক একই আইন দ্বারা পরিচালিত হয়ে থাকে। রাষ্ট্রে যে কোন নামে-বেনামে নাগরিক অপরাধ করলে তার বিচার করতে হবে।”

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password