করোনা রোগী তল্লাশির নামে কিশোরীকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ

করোনা রোগী তল্লাশির নামে কিশোরীকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ
MostPlay
এই ঘরে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী লুকিয়ে আছে। তল্লাশি করতে হবে। ঘর খোলেন।’ এ কথা বলে পুলিশ পরিচয়ে ঘরে ঢোকে পাঁচ বখাটে। এর পর গৃহকর্তার গলায় ছুরি ধরে এবং তার স্ত্রীকে মারধর করে তাদের কিশোরী কন্যাকে (১৪) তুলে নিয়ে যায়। নদীর পারে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে ফেলে রাখে।

জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালেমুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় গতকাল সোমবার ধর্ষিতার বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর মিজান (২০) নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। ওই কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হবে। কিশোরীর বাবা বলেন, শনিবার দিনগত রাত ৩টার দিকে কয়েকজন এসে করোনায় আক্রান্ত রোগী আছে বলে পুলিশ পরিচয়ে তল্লাশি করতে দরজা খুলতে বলে। দরজা খুলে দেখি

পাঁচজনের দল। প্রথমে তারা পানি খেতে চায়। পানি এনে দিলে আমার মেয়ের হাত ধরে জোরজবরধস্তি শুরু করে। বাধা দিলে আমার গলায় ধারালো ছুরি ধরে। আমার স্ত্রীকে মারধর করে মেয়েকে তুলে নিয়ে যায় ঝিনাই নদীর ওপারে। সেখানে পাঁচজন মিলে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে যায়। তাদের মধ্যে একই গ্রামের আবু বক্করের ছেলে পুষন ও টগার চরের মিজানকে চিনতে পারি। রবিবার সকালে নদীর পারের জঙ্গল থেকে আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা। পরে দুপুরে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

জামালপুরের পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসেন বলেন, ব্যাপারটি খুবই দুঃখজনক। দেশের এ দুঃসময়ে পুলিশের নাম ব্যবহার করে করোনা রোগী তল্লাশির নামে অপরাধীরা এ ধরনের অপরাধ করছে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password