কবর খুঁড়ে তন্নীর দেহের বিভিন্ন অংশের নমুনা সংগ্রহ

কবর খুঁড়ে তন্নীর দেহের বিভিন্ন অংশের নমুনা সংগ্রহ
MostPlay

নড়াইলে আদালতের নির্দেশে মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে নড়াইলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.আলাউদ্দিন ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক (তদন্ত) মাহামুদুর রহমানের উপস্থিতিতে কবর খুঁড়ে তন্নীর দেহের বিভিন্ন অংশের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরে পুনরায় দাফন সম্পন্ন করা হয়। নড়াইলের সদর উপজেলার বাঁশগ্রাম ইউপির জদুনাথপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

পারিবারিক ও এজাহার সূত্রে জানা গেছে, লোহাগড়া উপজেলার মাকড়াইল গ্রামের তবিবর রহমানের তুরস্ক প্রবাসী ছেলে ফরিদ রহমানের (৩২) সঙ্গে নড়াইল সদর উপজেলার বাঁশগ্রাম ইউপির জদুনাথপুর গ্রামের জালাল মোল্যার মেয়ে ওম্মেহানি মোস্তারি তন্নীর (২০) মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিয়ে হয়। বিয়ের প্রায় এক বছর পর তন্নীর স্বামী দেশে ফিরে আসেন এবং তাদের সংসারে একটি কন্যাসন্তান জন্ম নেয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ২৮ আগস্ট তন্নী তার শ্বশুরবাড়ি মাকড়াইলে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নড়াইল সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তন্নীকে মৃত ঘোষণা করেন। উভয় পরিবারের সম্মতিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তন্নীর লাশ বাবার বাড়ি সদর উপজেলার জদুনাথপুর গ্রামের কবর স্থানে দাফন করা হয়।

এ ঘটনার প্রায় চার মাস পর তন্নীর বড়ভাই জানতে পারেন, তার বোন তন্নীকে শ্বশুরবাড়ির পক্ষের লোকজন নির্যাতন করে হত্যা করেছে। এরপর তন্নীর বড়ভাই ফরিদ উদ্দিন বাদী হয়ে গত ২৫ জানুয়ারি নড়াইলের আমলি আদালতে তন্নীর স্বামী ফরিদসহ পাঁচজনকে আসামি করে নালিশি আবেদন করেন। আদালত আবেদন আমলে নিয়ে লোহাগড়া থানায় একটি এফআইআর করার আদেশ দেন।

এ বিষয় ফরিদ রহমানের পরিবার জানায়, অহেতুক ফরিদ রহমানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক (তদন্ত) মাহামুদুর রহমান জানান, তন্নীর স্বামী ফরিদকে আটক করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের আটকের চেষ্টা চলছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password