নয় বছর পর চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে চেলসি

নয় বছর পর চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে চেলসি
MostPlay

রিয়ালের ঘরে ১-১ গোলে ড্র করায় কিছুটা এগিয়ে থেকেই নিজেদের মাঠে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে মাঠে নেমেছিল চেলসি। তবে দলটা যে রিয়াল মাদ্রিদ, যারা মোট ১৬ বার চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল খেলেছে যার মধ্যে শিরোপা জিতেছে ১৩ বার। তাই ভয়টা কিন্ত চেলসির সমর্থকদের মনে ছিলই। তবে তারা একটা পরিসংখ্যানে বেশ এগিয়ে ছিল। বর্তমান চেলসি কোচ টমাস টুখেলকে কখনই হারাতে পারেনি রিয়াল বস জিদেন জিদান। ২০১৬ সাল থেকে পাঁচবারের দেখায় একবারও জিততে পারেননি জিদান এবং কাল রাতে ষষ্ঠবারেও জিদান পারেননি সেই পরিসংখ্যান বদলাতে। ঘরের মাঠ স্ট্যামফোর্ড ব্রীজে রিয়াল মাদ্রিদকে ২-০ গোলে হারিয়ে নয় বছর পর চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে জায়গা করে নিল ব্লুজরা। সর্বশেষ ২০১২ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল খেলেছিল চেলসি। সেইবার তারা প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জিতেছিল।

বুধবার রাতে লন্ডনের স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে রিয়াল মাদ্রিদ বল দখলে এগিয়ে থাকলেও চেলসির গোলকিপারকে শুরুতে বড় পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি তারা। রিয়ালের মাঝমাঠের খেলোয়াড়রা নিষ্প্রভ থাকলেও দারুণ খেলেছেন চেলসির কন্তে। যখন তার কাছে সুযোগ এসেছে তখন তার সতীর্থদের দিয়েছেন দারুণ সব পাস। ম্যাচের ১৮ মিনিটের সময় বেন কাহিলের ক্রস থেকে জালে বল জড়িয়েছিল চেলসির টিমো ওয়ার্নার। কিন্তু অফসাইডের কারণে সেটি বাতিল হয়। এরপর ২৬ মিনিটের সময় করিম বেনজেমা গোল করে ফেলেছিলেন প্রায়। কিন্তু তার নেওয়া শট চেলসির গোলরক্ষক ইডুয়ার্ডো মেন্ডি বামদিকে ঝাপিয়ে পড়ে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন। পাল্টা আক্রমণে দুই মিনিট পরই লিড নেয় চেলসি। ওয়েরনারের সঙ্গে বল দেয়া-নেয়া করে ডি-বক্সে থাকা কাই হাভার্টজের উদ্দেশ্যে বাড়ান কান্তে। কিন্তু সেই বল থেকে নেয়া হাভার্টজের শট বাধা পায় পোস্টে। তবে ফিরতি বল খালি বারে ঢোকাতে ভুল করেননি টিমো ওয়ের্নার। গোল হযম করার পর ছন্নছাড়া ফুটবল খেলতে থাকে রিয়াল। এই সুযোগে রিয়ালকে আরও চেপে ধরে চেলসি। রিয়াল মাদ্রিদের ভাগ্য ভালো বিরতির আগে আর কোন গোল হযম করতে হয়নি তাদের।

বিরতি থেকে ফিরে চেলসি আরও উজ্জীবিত হয়ে খেলেছে। চেলসির তুলনায় রিয়াল তেমন সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। একের পর এক সংঘবদ্ধ আক্রমন করেছে চেলসি। রিয়াল রিয়ালের গোলকিপার কোর্তোয়া অবশ্য বেশি গোল খেতে দেননি দলকে। ৪৭ মিনিটে চেলসির হাবার্জের শট ক্রস বারে লেগে প্রতিহত হয়। ৫৩ মিনিটে মাউন্টের শট ক্রস বারের ওপর দিয়ে যায়। ৫৯ মিনিটে হাবার্জ গোলকিপারকে একা পেয়ে তার শরীরে মেরে সুযোগ নষ্ট করেন। ৬৬ মিনিটে ভার্নারের পাসে কন্তের শট গোলকিপার কোর্তোয়া প্রতিহত করেন। এক গোলের লিডেই ম্যাচ জেতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিল চেলসি। ম্যাচ শেষ হওয়ার মিনিট পাঁচেক আগে দ্বিতীয় গোলটি করেন ম্যাসন মাউন্ট। এবারও গোলের উৎস কান্তে। আর তাতেই দুই গোলের ব্যাবধানে চেলসির জয় নিশ্চিত হয়ে যায়।

আগামী ২৯ মে তুরস্কের ইস্তানবুলে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে মাঠে নামবে চেলসি।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password