‘বিএনপির নেতৃত্ব আসে ইংল্যান্ড থেকে, তারেককে মেনে নেওয়ার মানুষ আমি নই’

‘বিএনপির নেতৃত্ব আসে ইংল্যান্ড থেকে, তারেককে মেনে নেওয়ার মানুষ আমি নই’
MostPlay

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, ‘বিএনপির নেতৃত্ব আসে ইংল্যান্ড থেকে। আর আমি ইংল্যান্ডের নেতৃত্ব মানি না।’ 

বিএনপি নেতা তারেক রহমান কখনও প্রধানমন্ত্রী হলেও তাকে মেনে নেওয়ার মানুষ তিনি নন বলে জানান কাদের সিদ্দিকী।

স্বাধীনতার প্রথম পতাকা উত্তোলন দিবসের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে মঙ্গলবার বিকালে সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে  আলোচনা সভায় বিএনপি নেতা তারেক রহমানের সমালোচনা করে এসব কথা বলেন তিনি ।

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বলেন, ‘আমরা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট করেছিলাম। আমার কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সেখানে অংশ নিয়েছিল। ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে আমি অংশ নিই। কিন্ত গিয়ে দেখলাম, ড. কামাল হোসেন নেতৃত্ব দেন না। নেতৃত্ব দেয় বিএনপি এবং বিএনপির নেতৃত্ব আসে ইংল্যান্ড থেকে। আমি ইংল্যান্ডের নেতৃত্ব মানতে রাজি না। জাতীয় ঐক্য জাতিকে নিয়ে করতে হবে। রাজনীতি করতে হলে মাঠে আসতে হবে। বিএনপিকে গণতান্ত্রিক হতে হবে। মানুষকে মর্যাদা দেয়া শিখতে হবে, তারপরে রাজনীতি করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘ক্ষমতা এত সোজা কথা না। আমি যদি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনাকে স্বীকার না করি, তাহলে শুনুন আমি আপনাদের সবার সামনে বলছি, তারেক রহমানের পরিবর্তন না হলে তাকেও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মেনে নেওয়ার মানুষ আমি না। তাকে উপযুক্ত হতে হবে।’ 

সভায় তারেক রহমানের কড়া সমালোচনা করলেও বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের গুণকীর্তন করেন বঙ্গবীর।

বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বহুবার বলেছেন, বিএনপি দুর্নীতিবাজ । এটাকে প্রমাণ করার জন্য তিনি বার বার বলেছেন, জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর খালেদা জিয়া দেখেছেন ভাঙা স্যুটকেস আর ছেড়া গেঞ্জি। এটাই যদি সত্য হয় তাহলে জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন সৎ মানুষ। তিনি ছেড়া গেঞ্জি আর ভাঙ্গা স্যুটকেস রেখে গেছেন। আর তার সন্তান যদি হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয় তাহলে তিনি নেতা নন। দেশের মানুষের আস্থাভাজন হতে পারেন না। যিনি দেশের নেতা হবেন তার সম্পদের পাহাড় হবে না। সম্পদ আর নেতৃত্ব একসঙ্গে চলে না। এটা রাত দিনের মত পার্থক্য।’ 

এরপর ঐতিহাসিক পতাকা উত্তোলন দিবস উপলক্ষ্যে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আজকে দেশ আর দেশ নেই। যদি থাকতো তাহলে আ স ম আব্দুর রবের এই পতাকা উত্তোলন দিবস তাকে পালন করতে হতো না। সরকার পালন করত, সারা বাঙালি জাতি পালন করত।’

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন দলের কার্যকরী সভাপতি সা কা ম আনিছুর রহমান খান। 

সভায় কাদের সিদ্দিকী ছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি ও স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলনকারী আ স ম আব্দুর রব, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টিবোর্ড সদস্য ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যর আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না প্রমুখ।

সভায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘মুসতাক একজন লেখক, তাকে হত্যা করা হলো কারাগারের মধ্যে। আমাদের ৩৫ লাখ নেতা-কর্মী গায়েবি মামলার আসামি। তাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই কর্তৃত্ববাদী সরকারকে হঠিয়ে জনগণের সরকার গঠন করতে হবে।’

আ স ম আব্দুর রব বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে মা কালীর মতো বর্তমান সরকার রক্তপাত ছাড়া যাবে না। আমরা কে কে রক্ত দেব সেটা এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। দেশের জন্য সব আন্দোলন সংগ্রামে রক্ত দিয়েছি, অবারও দিতে চাই। ছাত্র যুবকরা কোথায়? যারা ৫২ সালে ৪৪ ধারা ভেঙ্গেছে, ৬৯ কারফিউ ভঙ্গ করেছে। বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে সরকারকে হটাতে হবে।’

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password