রাতের অন্ধকারে বশতবাড়ীতে হামলা এবং লুটপাট

রাতের অন্ধকারে বশতবাড়ীতে হামলা এবং লুটপাট
MostPlay

নওগাঁর সাপাহারে রাতের অন্ধকারে একটি বিবাদমান সম্পত্তির উপর নির্মিত বশতবাড়ী ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের ৫ জন আহত হয়েছে! একজনের অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।রবিবার দিবাগত রাতে উপজেলার হাপানিয়া আন্ধার দিঘী গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। খবর পেয়ে সাপাহার থানা ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আল মাহমুদ সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

উভয় পক্ষের লোকজন ও গ্রামবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, গ্রামের মধ্যে বশতবাড়ী নির্মান যোগ্য বিবদমান ওই জায়গায় পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত দাবী করে ওই গ্রামের আব্দুস সোবহান এর ছেলে কাওসার আলী ও রুবেল বিগত ৩ বছর পূর্বে সেখানে টিনের ছাউনি ও বাঁশের বেড়া দিয়ে ৩টি ঘর নির্মান করে বসবাস করে আসছিল।

হঠাৎ করে আনুমানিক রাত ২টায় একই গ্রামের প্রতিপক্ষের নার্গিস আক্তার তার স্বামী রাকিব হোসেন, তার বোন কহিনুর বেগম ও তার স্বামী এমদাদুল হক পাশ্ববর্তী কামাশপুর গ্রাম থেকে একদল লোক ভাড়া করে নিয়ে এসে ঘুমন্ত অবস্থায় তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হঠাৎ ভাঙ্গচুরের শব্দে রুবেল তার স্ত্রী ও তার মা মরিয়ম বেগম ছুটা ছুটি করতে থাকলে প্রতিপক্ষের লোকজন তাদের উপর দেশিয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে মারধর সহ সমস্ত বশতবাড়ী ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়ে সম্পুর্ন ছাউনির টিন ও বেড়ার আসবাবপত্র সহ ঘরের মধ্যে থাকা যাবতীয় জিনিসপত্র লুটপাট করে নিয়ে পালিয়ে যায়।

সকালে ঘটনা স্থালে গিয়ে প্রতিপক্ষের কহিনুর বেগমের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ওই জায়গাটি আমাদের আমরা আমার মা’র অংশ সূত্রে প্রাপ্ত তারা গায়ের জোরে সেখানে বশত বাড়ী নির্মান করেছে। বর্তমানে উক্ত সম্পত্তি নিয়ে আদালতে একটি বাটোয়ারা মামলা বিচারাধিন আছে। রাতের অন্ধকারে রুবেল ও তার লোকজন বাঁশ ও কাঠের খুঁটি এনে তাদের ভাঙ্গা চুড়া বাসাটি স্থায়ীকরণের জন্য কাজ করতে উদ্যত হলে আমরা তাতে বাধা দেই। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সৃষ্ট ঠেলা ঠেলি ও হাঙ্গামাতে উভয় পক্ষের ৫ জন আহত হয়।

আহতরা হলেন, কহিনুর পক্ষের কামাশপুর গ্রামের নুরুল হকের ছেলে এমদাদুল (৩৬), তার আপন ভাই শফিকুল ইসলাম (২৮) ও মামুন হোসেন (২২)। কাওসার ও রুবেল পক্ষের বাসাতে ঘুমন্ত অবস্থায় থাকা রুবেল (২৬) ও তার মা মরিয়ম বেগম (৬০)।ভোরেই প্রত্যেকে সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে কহিনুর পক্ষের মামুনের অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।

এ বিষয়ে থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আল মাহমুদ বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, তবে এখনও পর্যন্ত থানায় কোন পক্ষই কোন অভিযোগ দাখিল করেনি। অভিযোগ পেলে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

 

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password