ঈদের পরে লঞ্চ শ্রমিকরা কঠোর আন্দোলনে নামবে

ঈদের পরে লঞ্চ শ্রমিকরা কঠোর আন্দোলনে নামবে
MostPlay

ঈদের পরের দিন লঞ্চ চলাচলের অনুমতি না দিলে লঞ্চ শ্রমিকরা আন্দোলনে নামবেন এমনটাই জানিয়েছেন নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন বরিশালের সভাপতি। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকারের ঘোষিত লকডাউনে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকলেও ঈদের আগমুহূর্তে লঞ্চ চালানোর অনুমতি আসতে পারে শ্রমিকনেতাদের এমন আশ্বাসে অপেক্ষায় ছিলেন লঞ্চশ্রমিক। কিন্তু সেই আশ্বাসে ভাটা পড়ায় ঈদের পরের দিন লঞ্চ চলাচলে অনুমতি না মিললে শ্রমিকরা আন্দোলনে যাবেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ মে) নৌ-যান শ্রমিক ফেডারেশনের বরিশালের সভাপতি আবুল হাশেম গণমাধ্যমেকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।আবুল হাশেম বলেন, লকডাউনে ঈদের আগমুহূর্তে বাস, ফেরি, ট্রলার ও স্পিডবোট চলাচল করেছে শুধু বন্ধ ছিল লঞ্চ। এতে লঞ্চশ্রমিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক শ্রমিকের ঘরে খাবার নেই। লঞ্চশ্রমিকদের জীবন কিভাবে কাটছে খোঁজ নেয়নি কেউ। মালিকপক্ষ থেকে যা দেওয়া হচ্ছে তা অপ্রতুল। আমরা ঈদের দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করব। পরদিন থেকে কঠোর আন্দোলনে নামবো।

সুরভী-৯ লঞ্চের মাস্টার শুক্কুর আলী বলেন, চলমান লকডাউনে সড়ক পথে বাস, মাইক্রোবাস, ট্রাক চলছে। বিভিন্ন যানবাহনে মানুষ ঢাকা ছেড়ে গ্রামে চলে গেছেন। শুধু লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। দ্রুত সময়ে লঞ্চ চলাচলের অনুমতি না এলে আন্দোলনের নামবো।

দোয়েল পাখি লঞ্চের মাস্টার হোসেন আলী বলেন, করোনা মহামারির কারণে লঞ্চ বন্ধ থাকায় আয় নেই। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অনেক কষ্টে ঈদ কাটছে। না পারছি কাজ করতে, না পাচ্ছি সহায়তা চাইতে।

লঞ্চমালিকরা জানায়, শ্রমিকদের তালিকা ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। শিগগিরই ত্রাণ আসবে। মালিকরা সামর্থ্য অনুযায়ী বেতন ও সহায়তা দিয়েছেন। কিছু লঞ্চশ্রমিককে সীমিত আকারে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। আমার জানা মতে অনেক লঞ্চমালিক অর্ধেক বেতন পরিশোধ করেছেন।

বাংলাদেশ নৌ-যান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাহ আলম বলেন, করোনা মহামারির মধ্যে লঞ্চ ছাড়া সব যানবাহন চলছে। লঞ্চ শ্রমিক সংকটের মধ্যে জীবনযাপন করছেন। লঞ্চ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত যুক্তিহীন। শ্রমিকদের প্রণোদনার জন্য সরকারের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। আমাদের আশ্বস্ত করেছে। এখন অপেক্ষা করা ছাড়া কিছুই করার নেই।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password