যুক্তরাজ্যে টিকাকে হার মানাতে পারে করোনার নতুন ধরন

যুক্তরাজ্যে টিকাকে হার মানাতে পারে করোনার নতুন ধরন
MostPlay

যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসের এমন একটি ধরনের কথা জানা গেছে, যা টিকাকেও প্রভাবিত করতে পারে।নতুন ধরনের ভাইরাসটিকে মানবদেহে অ্যান্টিবডির সুরক্ষা ফাঁকি দিতে সক্ষম করে তুলতে পারে। দেশটিতে দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়তে থাকা করোনার নতুন ধরনের কিছু নমুনায় ভাইরাসটির এই রূপান্তর ধরা পড়েছে। খবর সিএনএনের।

যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য ও সমাজসেবা বিভাগের নির্বাহী সংস্থা পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড (পিএইচই) সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।করোনাভাইরাসের এ রূপান্তর ‘ই ৪৮৪ কে’ নামে পরিচিত। এ রূপান্তর দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলে শনাক্ত হওয়া এই ভাইরাসের বিশেষ বৈশিষ্ট্যযুক্ত কিছু নতুন ধরনেও দেখা গেছে।

পিএইচইর প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যে করোনার নতুন ধরন অন্তত ১১টি নমুনায় নতুন রূপান্তর দেখা গেছে। কোনো একক সংক্রমণের ঘটনা থেকে ছড়িয়ে পড়ার পরিবর্তে কিছু কিছু নমুনায় স্বাধীনভাবেও এই রূপান্তরের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে দেখা গেছে।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই রূপান্তরের অর্থ হলো করোনার আগের ধরনের চেয়ে অধিকতর সংক্রমণযোগ্য নতুন ধরনটি টিকা প্রয়োগে মানবদেহে গড়ে ওঠা রোগের সুরক্ষাব্যবস্থার বিরুদ্ধেও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে।

গবেষকরা বলছেন, রূপান্তরের বিষয়টি যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বজুড়ে করোনার বর্তমান গতিপ্রকৃতিকে ভীষণভাবে প্রভাবিত করবে— এমনটি এখনই বলা ঠিক হবে না।তবে কিছু গবেষণায় ইঙ্গিত পাওয়া গেছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় কিছু কিছু টিকা দৃশ্যত কেন কম কার্যকর হতে দেখা যাচ্ছে, তার পেছনে নতুন ধরনের ভাইরাসের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকতে পারে।

সম্প্রতি নোভাভ্যাক্স ঘোষণা করেছে, যুক্তরাজ্যে মানবদেহে তাদের টিকার তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় এটি ৮৯ শতাংশ কার্যকর হতে দেখা গেছে।  কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকায় ৬০ শতাংশ কার্যকর হতে দেখা গেছে। টিকার কার্যকারিতার ক্ষেত্রে দেশভেদে একই রকম পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়েছে জনসন অ্যান্ড জনসনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালেও।

যুক্তরাষ্ট্রে জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা ৭২ শতাংশ ও দক্ষিণ আফ্রিকায় ৫৭ শতাংশ কার্যকর হয়েছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password