কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় গাছ থেকে আম ছিড়া নিয়ে গতকাল ২০ এপ্রিল (মঙ্গলবার) সন্ধ্যা ৭ টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের সাবেক গুলদি গ্রামে দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় কলেজের দুই ছাত্রী, স্কুল শিক্ষিকা, বয়ো:বৃদ্ধ মহিলাসহ উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৮ জন আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। খবর পেয়ে পেকুয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
আহতরা হলেন সাবেক গুলদি গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে চট্টগ্রাম হাজী মোহাম্মদ মহসিন কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জুনাইদ হোসেন শাহীন (২০), জয়নাল আবেদীনের মেয়ে একই কলেজের অনার্স ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী জিয়াসমিন আক্তার (২১), মৃত নুর আহমদের স্ত্রী সুফিয়া খাতুন (৭০), বেবী আক্তার (৩৫)। অপরপক্ষের আহতরা হলেন সাবেক গুলদি গ্রামের মৃত বাদশাহ মিয়ার ছেলে জাকিরুল ইসলাম (৪৫), জাইদুল হকের পুত্র আবু বক্কর (৪৫), জাইদুল হকের স্ত্রী নুর জাহান (৭০), পেকুয়া জিএমসি স্কুলের শিক্ষিকা ও জাইদুল হকের মেয়ে জন্নাতুল মোস্তফা (২৫)।
আহতদের মধ্যে সুফিয়া খাতুনের অবস্থা গুরুতর বলে নিশ্চিত করেছেন মেডিকেল অফিসার । হাতের দুটি আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বলে স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই দিন বিকেলে গাছ থেকে আম ছিড়া নিয়ে সাবেকগুলদিতে মৃত নুর আহমদের স্ত্রী সুফিয়া খাতুন ও প্রতিবেশী মৃত বাদশাহ মিয়ার পুত্র সাইফুল ইসলাম গংদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। সেই সময় বিষয়টি মিটমাট হয়ে যায়। তবে সন্ধ্যার দিকে একই সুত্র ধরে দুপক্ষের মধ্যে ফের বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে আমপাড়ার বিষয়টিকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এ সময় উভয়পক্ষের অন্তত ৮ জন নারী-পুরুষ আহত হয়েছে।
উপজেলা যুবলীগ নেতা ও বারবাকিয়া বাজারের ব্যবসায়ী মহিউদ্দিন জানান, দুপুরে গাছের আমপাড়া নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছে। সন্ধ্যার দিকে সাইফুল ইসলাম গং রাজাখালী থেকে কিছু ভাড়াটে লোকজন বাড়িতে জড়ো করে। তারা অতর্কিত হামলা চালিয়ে আমাদের পরিবারের ৪ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে। সুফিয়া খাতুনের বয়স ৮০ এর উপরে । তার হাতের দুটি আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে বলে জানান। তার সাথে কলেজের ২ জন ছাত্র-ছাত্রীকেও তারা কুপিয়ে জখম করেন।
অপর দিকে সাইফুল ইসলাম জানান, তারা আমাদের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। আমাদের পরিবারের ৪ জনকে কুপিয়ে জখম করে। আমরা চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আসতে পারছিলাম না। পুলিশ গিয়ে আমাদেরকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে।পেকুয়া থানার এস,আই জসিম উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে আমি সেখানে গিয়েছিলাম। এটি ছোট্ট বিষয় নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে মারপিট হয়েছে। উভয়পক্ষকে আগে চিকিৎসা নিতে বলেছি।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন