রমজান মাস এলে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের তেলে ভাঁজা খাবারের পাশাপাশি মিষ্টি খাবারের চাহিদা যেনো আকাশ ছোঁয়া। কিন্তু এ সকল খাবার খেলে শরীর ক্রমে খারাপ হতে শুরু করে। তাই নিজেকে সুস্থ রাখতে মেনে চলতে পারেন রমজানের প্রয়োজনীয় সাতটি টিপস।
১. সেহরি করুন
রোজা করতে হলে সূর্য ওঠার আগে রোজার নিয়ত করে খাবার খেতে হবে। সেহরি কখনই বাদ দেয়া যাবে না। মাথায় রাখবেন দিনে যে কোনো সময় আপনি একটু ঘুমাতে পারবেন। কিন্তু রোজার সময় আপনি কিছু পান করতে পারবেন না, এমনকি খেতেও পারবেন না। তাই সেহরির জন্য টেবিল আগেই গুছিয়ে রাখবেন। তাহলে রাতে উঠে খেতে খুব একটা কষ্ট হবে না।
২. চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়া কমান
একদম সঠিক। চর্বি খাওয়া কমাতে হবে। কিন্তু একেবারে বাদ দেওয়া যাবে না। অন্যথায়, মুসলিমদের ঐতিহ্যবাহী ইফতার থেকে সম্পর্ক ভেঙ্গে যাবে। চর্বি জাতীয় বলতে প্রধানত অতিরিক্ত তেল জাতীয় খাবার, ভাঁজা, অথবা অতিরিক্ত মিষ্টি দেয়া খাবারগুলোকেই বলা হচ্ছে।
৩. অনুসরণ করুন নবীজির একতৃতীয়াংশের সুবর্ণ নিয়ম
রমজানে মাসে এটা অবশ্যই পালনীয়। খাবারের একতৃতীয়াংশই আমাদের খাওয়া উচিত। এই পরিমাণে পানি পান করা উচিত। এরপরে সমপরিমাণ জায়গা আমাদের পাকস্থলীর ফাঁকা রাখা প্রয়োজন। এতে আমাদের পাকস্থলী সুস্থ থাকে।
৪. স্বাস্থ্যকর সস জাতীয় কিছু খেতে পারেন
ফল এবং সবজির একটা বড় অংশ প্রায়ই খাওয়া হয় না। রেখে দেয়া হয় এই বলে যে পরে খাবো। কিন্তু রমজান মাসে খাওয়ার সময়টা অনেক কম থাকায় সেগুলো বেশিরভাগ সময় রয়েই যায়। তবে ইফতারে কোনো স্বাস্থ্যকর সসের মাঝে ডুবিয়ে চাইলেই খেয়ে নিতে পারেন সেগুলো। এতে শরীরেরও ক্ষতি হলো না, খাবারও অপচয় হলো না।
৫. ইফতারের পরে হাঁটুন
ইফতার করেই অনেকে শুয়ে পরেন। যা মোটেও ঠিক নয়। খাবার খেয়ে সাথে সাথে শুয়ে পরলে শরীরে মেদের পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই ইফতার করে অবশ্যই বাইরে একটু হাঁটা উচিত।
৬. তারাবীর নামাজ আদায় করুন
সব থেকে ভালো ব্যায়াম হলো নামাজ। নামাজের মাধ্যমে সব কিছু অর্জন করা যায়। একটা স্বাস্থ্যকর স্বাস্থ্যও।
৭. বিকেলে কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে নিন
বিশেষজ্ঞরা বলেন নিজেকে সতেজ করতে ১৫ মিনিটের আরামই যথেষ্ট। রোজা রেখে শরীর বিকেলে বেশি ক্লান্ত লাগে। তখন মোবাইলে অ্যালার্ম সেট করে কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে নিতে পারেন। কিন্তু অনেক লম্বা সময় ঘুমিয়ে থাকা যাবে না। এতে করে শরীর আরও বেশি খারাপ হয়ে যাবে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন