ফেসবুকে পরিচয়ে প্রেম, অতঃপর

ফেসবুকে পরিচয়ে প্রেম, অতঃপর
MostPlay

বরিশালে ভুয়া সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) পরিচয়ে এক ব্যক্তি ফেসবুকে সিলেটের এক কিশোরীর সঙ্গে বন্ধুত্ব করে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পরে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন অভিযোগে মামলা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, ওই কিশোরী সিলেটের একটি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে ওই ব্যক্তিকে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানালে সে ২৮ জানুয়ারি বরিশাল নগরের বিমানবন্দর থানায় মামলা করে। গতকাল বুধবার বরিশালের আদালতে মামলাটির শুনানির পর বিষয়টি জানাজানি হয়।

পুলিশ জানায়, প্রতারক ওই ব্যক্তির ঠিকানা না জানায় গত ২৭ জানুয়ারি স্কুলছাত্রী বরিশাল নগর পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ করে। এরপর পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে ওই ঘটনায় বরিশাল নগরের বিমানবন্দর থানায় পরের দিন সে মামলা করে। মামলা দায়েরের পর থেকেই পুলিশ অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত নামে এবং ভুয়া এএসপি পরিচয়দানকারী ওই ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করে। এখনো তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়নি, তবে শিগগিরই তাঁকে আইনের আওতায় আনা হবে।

 

মামলায় ওই স্কুলছাত্রী অভিযোগ করেছে, ২০১৮ সালের শুরুর দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শামসুল হক ওরফে রাসেল নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে তার যোগাযোগ হয়। ওই সময় তিনি নিজেকে এএসপি পরিচয় দেন। ফেসবুক ও ফোনে কথাবার্তার একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই বছরের ২২ সেপ্টেম্বর কিশোরীকে সিলেট থেকে বরিশালে নেন ওই ব্যক্তি। তখন তাকে ধর্ষণ করা হয়। এভাবে বেশ কয়েকবার ধর্ষণের ঘটনায় মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বিয়ের জন্য বললেও ওই ব্যক্তি তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান।

 

বরিশাল নগর পুলিশের কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। শিগগিরই অপরাধীকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password