ছেলের প্রতারণার টাকা নিতে গিয়ে ধরা খেলেন বাবা

ছেলের প্রতারণার টাকা নিতে গিয়ে ধরা খেলেন বাবা
MostPlay

বর্তমান ডিজিটাল যুগে পাল্টে যাচ্ছে প্রতারণার কৌশল। কখনো সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, কখনো রোগীর আত্মীয়, কখনো ভুলে বিকাশে টাকা যাওয়া, লটারি পাওয়াসহ ফেসবুক হ্যাক করে ব্ল্যাকমেইল- এমন নানা উপায়ে প্রতারণা করে আসছে প্রতারক চক্র। সম্প্রতি রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে এমন এক প্রতারক চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। মঙ্গলবার এ চক্রেরই এক সদস্যের বাবা বিকাশের দোকান থেকে আটক হয়েছেন।

আটককৃত ব্যক্তি উপজেলার জঙ্গল ইউনিয়নের মধুগাড়াপাড়ার মনোরঞ্জন মন্ডল। বিকাশের এজেন্ট তাকে বাজার বণিক সমিতির সহায়তায় পুলিশে সোপর্দ করেছে। মনোরঞ্জন মন্ডলের প্রতারক ছেলের নাম দেবব্রত মন্ডল।

জানা যায়, বালিয়াকান্দি বাজারে গফুরের বিকাশের দোকানে মঙ্গলবার সকালে তার ছেলে ফুয়াদ ছিল। এ সময় একটি ছেলে এসে ফুয়াদকে জানায়, দোকানে লেখা বিকাশ নাম্বারে ২০ হাজার ৪০০ টাকা পাঠানো হয়েছে। ফুয়াদ ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি চাইলে তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে ছেলেটি। ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে আসতে বললে সে ফোন নম্বর রেখে টাকা না নিয়েই চলে যায়। এরই মাঝে খুলনা থানা থেকে দোকানে ফোন আসে টাকাটা প্রতারণা করে নেয়া হয়েছে।

পরে দোকানদার ফুয়াদ ফোন করে দেবব্রতকে টাকা নিতে আসতে বলেন। তবে নিজে না এসে দেবব্রত তার বাবা মনোরঞ্জন মন্ডল ওরফে মনোকে পাঠায়।

এ সময় ফুয়াদ বিষয়টি বাজার বণিক সমিতির সভাপতি আতাউর রহমানকে জানালে সমিতির সাধারণ সম্পাদক বদরুল আলম দোকানে আসেন এবং প্রতারকের বাবাকে পুলিশে সোপর্দ করেন।

খুলনা থানা পুলিশের সাথে কথা বলে প্রতারণার শিকার ব্যক্তিকে টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে বলে জানান ফুয়াদ।

বালিয়াকান্দি বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বদরুল আলম বলেন, বাজারে কেউ এসে যাতে অপকর্ম করে না যেতে পারে তার জন্য সকল ব্যবসায়ীদেরকে সজাগ করা হয়েছে। প্রতারক ছেলের টাকা নিতে আসা বাবাকে থানায় ধরিয়ে দেয়া হয়েছে।

থানার ডিউটি অফিসার এএসআই রিপন খন্দকার বলেন, থানায় দিলেও কেউ মামলা না করায় খুলনার ওসির সাথে কথা বলে টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে। মনোরঞ্জন মন্ডলকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

মনোরঞ্জন মন্ডলকে পুলিশে সোপর্দের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বালিয়াকান্দি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ওবায়েদুল হক।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password