ভারতীয় সেনার সঙ্গে থাকবে মার্কিন বাহিনীও

ভারতীয় সেনার সঙ্গে থাকবে মার্কিন বাহিনীও
MostPlay

ভারত-চিন সীমান্ত সংঘাতে যদি ভবিষ্যতে যুদ্ধ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, তবে ভারতীয় সেনার পাশে থাকবে মার্কিন সেনাও। হোয়াইট হাউসের গুরুত্বপূর্ণ সূত্র মারফত এমনই দাবি করেছে ফক্স নিউজ। চিফ অব স্টাফ মার্ক মিডোজকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, 'চিন বা অন্য কাউকে কোনও এলাকাতেই দাদাগিরি করতে দেব না। এই বার্তা স্পষ্টই।' তাঁর কথায়, 'ভারত চিন পরিস্থিতি হোক বা অন্যত্র, আমাদের সেনারও শক্তিশালী অবস্থান হবে।' মার্কিন প্রেসিডেন্টের চিফ অব স্টাফের এই দাবির পর অন্য মাত্রা নিয়েছে ভারত-চিন পরিস্থিতি।

পূর্ব লাদাখের গলওয়ানে ভারতীয় সেনার সঙ্গে সংঘাতের পর থেকেই আন্তর্জাতিক বিশ্বে ক্রামাগত কোণঠাসা হচ্ছিল চিন। আমেরিকা, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, এমনকী ন্যাটো (NATO) জোট চিনকে সতর্ক করে। ইউরোপ থেকে এশিয়ায় সেনা সরিয়ে আনে আমেরিকা। দক্ষিণ চিন সাগরে পাঠিয়ে দেয় রণতরীও।

প্রসঙ্গত, এর আগে দক্ষিণ চিন সাগরে ভারত ও আমেরিকার যৌথ টহলদারির খবরে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে এশিয়া মহাদেশের বিশাল জলসীমায়। এই দক্ষিণ চিন সাগরকে নিজেদের এলাকা বলে দাবি করা চিন রয়টার্সের এই খবরে মোটেই খুশি ছিল না। আবার দক্ষিণ চিন সাগরেই চিনের তৈরি কৃত্রিম দ্বীপের খুব কাছে অবস্থিত দেশ ব্রুনেই-এর সঙ্গে সামরিক সমঝোতা করেছিল নয়াদিল্লি। যার যথেষ্ট প্রশংসা করেছিলেন মার্কিন নৌসেনার প্রধান অ্যাডমিরাল। প্রসঙ্গত, প্রেসিডেন্ট ওবামার সময় থেকে শুরুর পর বর্তমানে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময়ে আমেরিকার সঙ্গে ভারতের সামরিক সমঝোতা বহুগুণ বেড়েছে।

গত ১৫ জুন গলওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন ভারত ও চিনের সেনা বাহিনীর জওয়ানরা। দু’তরফের সংঘর্ষে শহিদ হন ২০ ভারতীয় জওয়ান। চিনা শিবিরেরও ৪০ জনের মৃত্যুর খবর মেলে। এরপরই থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (LAC)। কার্যত যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিল দু’দেশই। এদিকে, গত রবিবার ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা (NSA Ajit Doval) অজিত দোভালের সঙ্গে চিনের বিদেশমন্ত্রীর বৈঠকের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সীমান্তে ছবি পালটাতে শুরু করে। সোমবার সকালেই প্রায় দু'কিলোমিটার পিছিয়ে যায় চিনের লাল ফৌজ। সূত্রের খবর, আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে চিন আরও পিছু হটবে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password