কয়েকটি শিরক যা তওবা না করে মারা গেলে নিশ্চিত জাহান্নাম

কয়েকটি শিরক যা তওবা না করে মারা গেলে নিশ্চিত জাহান্নাম
MostPlay
* শরিরে যেকোন প্রকার তাবিজ ঝুলানো শিরক [মুসনাদে আহমদ: ১৭৪৫৮, সহিহ হাদিস:৪৯২] . * আল্লাহ ব্যাতিত অন্য কারো নামে কসম করা শিরক [আবু দাউদ:৩২৩৬(ইফা)] . * কোন কিছুকে শুভ-অশুভ লক্ষন বা কুলক্ষণ মনে করা শিরক [বুখারি :৫৩৪৬, আবু দাউদ:৩৯১০] . * আল্লাহর গুনবাচক নামে অন্য কাউকে ডাকা শিরক (যেমন: কুদ্দুস, রাহমান, রহীম, জাব্বার, সালাম, মুমিন ইত্যাদি) [সুরা ইসরা:১১০, হাশর] , * ‘তর ভবিষ্যত অন্ধকার’, ‘তর কপালে বহুত কষ্ট আছে’, এইধরনের গায়েবি কথা কাউকে বলা শিরক [সুরা নমল:৬৫, আল জিন:২৫-২৬, আনাম:৫৯] . *যে কোন জড় বস্তুকে সম্মান দেখানো তথা তাযীম করা বা তার সামনে নিরবতা পালন করা শিরক যেমন: পতাকা, স্মৃতিসৌধ, শহিদ মিনার কিংবা মাজার ইত্যাদি। [সুরা বাকারাহ:২৩৮, আহকাফ:৫, ফাতহুল বারি ৭/৪৪৮, আবু দাউদ:৪০৩৩] . * আল্লাহর ছাড়া অন্য কারো সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য কিংবা লোক দেখানো ইবাদাত করা শিরক [সুরা আনাম:১৬২, কাহফ:১১০,ইমরান:৬৪ ,ইবনে মাজাহ হা নং৫২০৪] . * আল্লাহ ব্যাতিত কোন গণক বা অন্য কেউ গায়েব জানে এই কথা বিশ্বাস করা শিরক [সুরা নমল:৬৫, আল জিন:২৬, আনাম:৫৯] . * আল্লাহর ছাড়া কোন পির-আওলিয়া এবং কোন মাজারের নিকট দুয়া করা বা কোন কিছু চাওয়া শিরক [সুরা ফাতিহা:৪, আশ শোআরা:২১৩, গাফির:৬০, তির্মিযি] . * মাজারে ও কোন পির-ফকির কিংবা কারো নিকট সিজদা দেয়া শিরক [সুর জীন: ২০, মুসলিম:১০৭৭, আবু দাউদ, মুত্তাফাকুন আলাই] . * আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো বা যেকোন পির-আওলিয়া কিংবা মাজারের নামে নামে মানত করা শিরক। তবে মানত না করাই উত্তম [সহিহ বুখারি: অধ্যায় : তাকদির] . এইরকম আরো অসংখ্য শিরক সমাজে বিদ্যামান। মনে রাখবেন,, শিরক এমন একটি গুনাহ যা করলে ঈমান এবং পূর্বের সমস্ত আমল সম্পুর্ন নষ্ট হয়ে যায়। কিয়ামতের দিন আল্লাহ সুবাহান্তায়ালা যেকোন গুনাহ ইচ্ছা করলে ক্ষমা করে দিবেন কিন্তু শিরকের গুনাহ কস্মিনকালে ও ক্ষমা করবেন না। আল্লাহ বলেন,, নিসন্দেহে আল্লাহ ইচ্ছা করলে যেকোন গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন কিন্তু শিরকের গুনাহ কখনো ক্ষমা করবেন না (সুরা নিসা :৪৮,১১৬) নিশ্চয় যে ব্যাক্তি আল্লাহর সাথে অংশীদার স্থির করে আল্লাহ তার জন্য জান্নাতকে হারাম করে দেন এবং জাহান্নামকে অবধারিত করে দেন (সুরা মায়িদাহ:৭২) . রাসুল্লাহ (সা) বলেছেন,, “আমার সামনে জিব্রাঈল আবির্ভূত হলেন। তিনি বললেন, আপনি আপনার উম্মতদের সুসংবাদ দিন, যে ব্যাক্তি আল্লাহর সংগে কাউকে শরিক না করা অবস্থায় মারা যাবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আমি বললাম, যদিও সে যিনা করে এবং যদিও সে চুরি করে থাকে? তিনি বললেন: যদিও সে যিনা করে এবং যদিও সে চুরি করে থাকে। [সহিহ বুখারি :১২৩৭,মুসলিম:৯৪] . শিরক হচ্ছে সবচেয়ে বড় ধ্বংসত্মাক বিষয়। শত পাপ করলে ও কিয়ামতের দিন তা ক্ষমার সম্ভবনা আছে কিন্তু শিরকের পাপ ক্ষমার কোন সম্ভবনাই নেই এবং তা নিসন্দেহে জাহান্নামে নিয়ে যাবে। ইয়া আল্লাহ আমাদের সকলকে শিরক থেকে বাচার তৌফিক দান করুন…

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password