বাংলাদেশে যেভাবে ছড়াচ্ছে করোনা

বাংলাদেশে যেভাবে ছড়াচ্ছে করোনা
MostPlay

বাংলাদেশে এ পর্যন্ত তিন দফায় মোট ৮ জনের করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। প্রথমে ইতালি ফেরত ২ জন এবং তাদের পরিবারের একজনসহ মোট ৩ জন, এরপর ইতালি ও জার্মান ফেরত ২ জন। সর্বশেষ আজ যে ৩ জনের করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে তাদের কেউই বিদেশ ফেরত নন। বরং তারা আগের বিদেশ ফেরতদের সংস্পর্শে এসে করোনার কবলে পড়েছেন। আইইডিসিআর আজ আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছে। আক্রান্ত তিন জনের মধ্যে একটি ছেলে শিশু, একটি মেয়ে শিশু এবং অপরজন নারী। এই তথ্য বিশেষজ্ঞ এবং চিকিৎসকদের বেশ উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেছেন যে, হোম কোয়ারেন্টাইন না মানা হলে এই করোনাভাইরাস আরও বেশি ছড়িয়ে পড়তে পারে। এছাড়া বিভিন্ন চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে যে, বাংলাদেশে করোনা ছড়াচ্ছে কয়েকটিভাবে।
প্রথমত, যারা ইউরোপ বা চীন থেকে আসছেন তাদের দেহে যদি করোনা থাকে এবং তাদের যদি প্রাথমিক উপসর্গ নাও থাকে- তারপরেও তাদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকা উচিৎ। এখন পর্যন্ত এদেশে ৯৪ হাজার লোক ফিরেছে, হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ২ হাজারের বেশি। বাকিরা প্রকাশ্যে সাধারণ মানুষের মাঝেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। এদেরকে শনাক্ত করাও সম্ভব হচ্ছে না। এরাই করোনাভাইরাস ছড়ানোর সবচেয়ে বড় ঝুকি বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।
দ্বিতীয়ত, প্রায় ২ হাজার ২০০ জন হোম হোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন, তারাও হোম হোয়ারেন্টাইনের নিয়মকানুনগুলো মানছেন না। বরং হোম হোয়ারেন্টাইনে বসে তারা নিকটজনদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন, সংস্পর্শে আসছেন। যারা সংস্পর্শে আসছেন, তারা যখন আবার অন্যদের কাছে যাচ্ছেন, সংক্রমণ আরও বাড়ার আশঙ্কা থাকছে।
তৃতীয়ত, বিদেশফেরতরা আসার পর বিভিন্নভাবে নিজেদের তথ্য গোপন করে সাধারণ মানুষের সংস্পর্শে আসছেন, যেখানে সেখানে ঘুরে বেড়িয়ে করোনাভাইরাস ছড়াচ্ছেন।
এ কারণেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আজ আরও কঠোরভাবে বলা হয়েছে যে যারা বিদেশ থেকে আসবে তাদের ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক হোম হোয়ারেন্টাইনে থাকতেই হবে। তাতে রাজি না হলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া জেলা প্রশাসনগুলোকে আজ নতুন করে বার্তা দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এই তিন প্রকারের মধ্যে যেকোনোভাবে যদি করোনাভাইরাস ছড়িয়ে যায়, তাহলে বাংলাদেশেও এটা বড় আকার ধারণ করতে পারে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password