করোনাভাইরাস: বাংলাদেশে যারা ভুগবে সবচেয়ে বেশি

করোনাভাইরাস: বাংলাদেশে যারা ভুগবে সবচেয়ে বেশি
MostPlay

কোভিড-১৯ বা করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ও তার বিস্তার এখন আমাদের বাস্তবতা। মাসখানেক আগেও অনেকে যে সমস্যাকে মনে করেছিলেন চীনের বা ইতালির, তাঁদের ভুল প্রমাণিত করে আমাদের সবাইকে এ সময়ের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করেছে এই ভাইরাস। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে করণীয় বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা আলোচনা করছেন এবং সেই অনুযায়ী বিভিন্ন পরিকল্পনাও করছেন।

এ ভাইরাসের কারণে স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির মধ্যে পড়েছি আমরা বাংলাদেশের সবাই। এই ভাইরাস যে প্রাণঘাতী, তা বৈশ্বিক অভিজ্ঞতা থেকে পরিষ্কার। আগামী দুই বা তিন সপ্তাহের মধ্যে ভাইরাসজনিত এই রোগের প্রভাব বাংলাদেশে কেমন হতে পারে, তার হয়তো একটা ধারণা পাওয়া যাবে। এ রকম পরিস্থিতিতে যেকোনো দেশের সরকার আর নীতিনির্ধারকদের মূল ফোকাস থাকে ভাইরাসের সংক্রমণ ও বিস্তার নিয়ন্ত্রণ।

কিন্তু বৈশ্বিক অভিজ্ঞতা থেকে বলা যায়, এ রকম একটা মহামারির মাঝারি আর দীর্ঘমেয়াদি আর্থসামাজিক প্রভাব নিয়ে আগাম আলোচনা খুব একটা হয় না। এখনই সময় করোনা ভাইরাসের সম্ভাব্য নেতিবাচক আর্থসামাজিক প্রভাব মোকাবিলায় আগাম পরিকল্পনা গ্রহণের। অন্যথায় ভাইরাসজনিত রোগটির কারণে আমাদের যতটা না ক্ষতি হবে, তার চেয়েও অনেক বেশি ক্ষতির শিকার হবে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। এমনকি গত দুই দশকে দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে আসা অনেক পরিবার আবার আগের অবস্থায় ফিরে যেতে পারে।

এ বছরে আমাদের প্রবৃদ্ধি অর্জনের যে লক্ষ্যমাত্রা তা-ও অর্জন সম্ভব হবে না। ফলে আমরা সবাই কমবেশি ভুগব। কিন্তু করোনাভাইরাসের এই চ্যালেঞ্জ সামলাতে যদি কারখানা স্থবির হয়ে যায় এবং শ্রমিকদের বেতন বন্ধ হয়, তাহলে সবচেয়ে বেশি ভুগবেন পোশাকশ্রমিকেরা। এঁদের প্রায় সবাই মাসিক বেতনের ওপর নির্ভরশীল। অধিকাংশ শ্রমিকেরই আপদ মোকাবিলার জন্য তেমন কোনো সঞ্চয় নেই, যা দিয়ে এই কঠিন সময় পার করবেন। ফলে জীবনধারণে চরম সংকটের মুখে পড়বেন এঁদের সবাই। আশার কথা হলো, প্রধানমন্ত্রী এরই মধ্যে পোশাকশিল্পের কর্মীদের জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজের ঘোষণা দিয়েছেন। এখন যেটা করা দরকার তা হলো এই টাকার সঠিক ও সময়োচিত ব্যবহার। বিজিএমইএ-কে এখন তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতার পরিচয় দিতে হবে। বিজিএমইএর সভাপতির কাছ থেকেও শ্রমিকদের বেতন-ভাতা অব্যাহত রাখার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। এখন এই প্রতিশ্রুতির বাস্তব প্রয়োগ সবাই দেখতে চান। দেখতে চান সরকারের পাঁচ হাজার কোটি টাকার সঠিক ব্যবহার।

আর সবচেয়ে বেশি ভুগবেন ‘দিন আনে দিন খায়’ এ রকম খেটে খাওয়া মানুষেরা। এঁদের সংখ্যা প্রায় ৬ কোটি। ঢাকা শহরের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ হওয়ায় আমরা দেখছি মধ্যবিত্তরা ব্যস্ত হয়ে পড়েছে খাবারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস স্টক করতে, আর খেটে খাওয়া মানুষদের দেখছি আয় বন্ধ হয়ে যাওয়ার চিন্তায় অস্থির হতে। বিভিন্ন মিডিয়ায় এ-সংক্রান্ত অনেক খবর প্রচারিত হচ্ছে। এখন তো সারা দেশই লকডাউন ন্যায়সংগত কারণে। কিন্তু একজন রিকশাওলার সংসার কীভাবে চলবে যদি তাঁর প্রতিদিনের আয় বন্ধ হয়ে যায়? বাস চলাচল বন্ধ, এখন পরিবহনশ্রমিকেরা কীভাবে সংসারের খরচ চালাবে?

আমাদের অর্থনীতির একটা বড় অংশ অনানুষ্ঠানিক। হাটবাজারে ছোট পানের দোকান, নানা ধরনের পণ্য বিক্রি করে এঁদের জীবন চলে। মানুষজন যদি সপ্তাহের পর সপ্তাহ ঘর থেকে বের হতে না পারেন, তাহলে এঁরা কীভাবে পরিবারের সবার খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন? কী ঘটবে গৃহকর্মীদের, যদি সংক্রমণ রোধে তাঁদের বাসায় ঢুকতে দেওয়া না হয়? পত্রিকায় সংবাদ বেরিয়েছে যে, নিকেতন আবাসিক এলাকায় এরই মধ্যে গৃহকর্মী ও ড্রাইভারদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। কানাডা-যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশে আমরা দেখছি সরকার স্বল্প আয়ের মানুষদের জন্য বিশেষ সহায়তার ব্যবস্থা করছে। আমাদেরও দ্রুত ভাবা উচিত সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির অধীনে স্বল্প আয়ের মানুষদের জন্য আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা করা। এটা খুব দ্রুত করা না গেলে আমরা ভয়াবহ সামাজিক অস্থিরতার মুখোমুখি হতে পারি। একই সঙ্গে শুধু রাষ্ট্রের দিকে তাকিয়ে না থেকে সামর্থ্যবান সবাইকে নিজেদের অবস্থান থেকেও দায়িত্ব নিতে হবে। আমার গাড়ির ড্রাইভারের দায়িত্ব আমার। এই আপত্কালীন অবস্থায় আমার গৃহকর্মীর পাশে দাঁড়ানোর নৈতিক দায়িত্বও আমার। সবাই মিলেই এই কঠিন সময় পার করতে হবে।

এই সংকটে সরকারের ঘোষিত সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিগুলোর বেশির ভাগই দেখা যাচ্ছে গ্রামকেন্দ্রিক। সরকার নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য ‘ঘরে ফেরা’ কর্মসূচির কথা বলছে। গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য খাদ্য সহায়তা আর নগদ অর্থ প্রদানের কথা সরকার ঘোষণা করেছে। কিন্তু শহরকেন্দ্রিক তেমন কোনো কর্মসূচি দেখা যাচ্ছে না। অথচ এখন পর্যন্ত করোনার প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক প্রভাব শহরেই বেশি।

সরকারের শহরকেন্দ্রিক সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি এমনিতেই দুর্বল। এই সংকটকালে বস্তিতে থাকা স্বল্প আয়ের শহুরে জনগোষ্ঠীর জন্য সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি গ্রহণ খুবই দরকারি। এরা এই লকডাউনের সময় গ্রামে চলে যাবে, এই ভাবনা বাস্তবসম্মত নয়। এরা ঘরে বসে থাকবে, তা চাইলে আপত্কালীন অবস্থায় এদের জন্য পর্যাপ্ত সহযোগিতা করতে হবে। যেসব উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান শহুরে দারিদ্র্য নিয়ে কাজ করছে, তাদের অবশ্যই এখন এদের পাশে দ্রুত দাঁড়াতে হবে। সিটি করপোরেশন বা পৌরসভার মেয়রদের এসব উদ্যোগের কেন্দ্রে থাকতে হবে। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান হিসেবে সিটি করপোরেশন এবং পৌরসভাগুলোকে এদের দায়িত্ব নিতে হবে।

শহরের স্থানীয় প্রতিষ্ঠানই পারে স্বল্প আয়ের মানুষদের মধ্যে কারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত তাঁদের বের করতে এবং তাঁদের জন্য কী ধরনের কর্মসূচি দরকার তা সরকারকে অবহিত করতে। সরকার তখন পারে এসব কর্মসূচিতে অর্থায়ন করতে। নিজের শহরকে নিরাপদ রাখাই সবার লক্ষ্য হওয়া উচিত। আর শহর নিরাপদ হবে না যদি শহরের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এবং ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের দায়িত্ব নিতে আমরা সবাই মিলে ব্যর্থ হই।

স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার ঝুঁকি

যেকোনো মহামারি সামলানোর সময় স্বাস্থ্য ব্যবস্থার লক্ষ্য থাকে, বিশেষ রোগটির বিস্তার প্রতিরোধ। মহামারির আকার যখন ব্যাপক হয় তখন সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়ে রোগটি সামলাতে। সেটা করতে গিয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রে মৌলিক অনেক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের প্রক্রিয়া গুরুত্ব হারায়। ফলে ভোগান্তি হয় অনেক মানুষের। পশ্চিম আফ্রিকায় ইবোলার সংক্রমণ এর একটি উদাহরণ। পরিসংখ্যান বলছে, ইবোলার কারণে সেখানে যত মানুষ মারা গেছে তার চেয়ে বেশি নারী মৃত্যুবরণ করেছেন প্রসবকালীন মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা না পাওয়ায়।

করোনাভাইরাস মোকাবিলা অবশ্যই আমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে, তা করতে গিয়ে যেন পুরো স্বাস্থ্যসেবা ভেঙে না পড়ে। আমাদের হাসপাতালগুলো যেন প্রসবকালীন জটিলতা নিয়ে ভর্তি হওয়া নারীকেও সঠিক সেবা দিতে পারে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, শহরগুলোতে এবার ডেঙ্গু আরও ব্যাপক আকার ধারণ করতে পারে। করোনা সামলাতে গিয়ে ডেঙ্গু সামলানোর প্রস্তুতিতে যেন ঘাটতি না পড়ে। এ সময়ে বা পরবর্তী সময়ে হৃদরোগে আক্রান্ত প্রতিটি রোগী যেন নিরবচ্ছিন্ন সেবা পায়। পুরো পরিস্থিতির নিয়মিত বিশ্লেষণ এবং সে অনুযায়ী পরিকল্পনা গ্রহণ ছাড়া আমাদের সামনে সহজ কোনো পথ খোলা নেই।

আমাদের যেমন পরিকল্পনা করতে হবে হাজার হাজার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সামলানোর, আবার পরিকল্পনা থাকতে হবে মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা অব্যাহত রাখার। বৈশ্বিক অভিজ্ঞতা বলছে দুই/তিন সপ্তাহের মধ্যে করোনার প্রাদুর্ভাব কমানো যাবে না। এই ভয়াবহতা কয়েক মাস ধরে চলতে পারে। এই সংকট সামলাতে গিয়ে যদি শিশুদের টিকা দান কর্মসূচি বা পুষ্টি কর্মসূচি অব্যাহত রাখা না যায়, তাহলে তা সুদূরপ্রসারী প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে।

ভুগবে নারীরা

করোনা সংকটে নারী-পুরুষ সবাইকেই ঘরে ফিরতে হচ্ছে। এখন পর্যন্ত যে তথ্য পাওয়া গেছে তা থেকে দেখা যাচ্ছে পুরুষদের তুলনায় নারীরা এই ভাইরাসে অপেক্ষাকৃত কম আক্রান্ত হচ্ছে। সেটা কেন, তার উত্তর হয়তো আমরা বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে পাব। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, যেকোনো মহামারিই নারীদের পেছনে ফেলে দেয়। ‘দ্য আটলান্টিক’ পত্রিকায় প্রকাশিত হেলেন লুইসের একটা লেখা পড়ছিলাম। শেক্‌সপিয়ার ‘কিং লিয়ার’ লিখেছিলেন ষোলো শতকে লন্ডনের ‘প্লেগ’ মহামারির সময় স্বেচ্ছানির্বাসিত জীবনযাপনকালে। আইজ্যাক নিউটনও ‘দ্য থিওরি অব অপটিকস’ লিখেছিলেন ‘প্লেগ’ মহামারির এ রকম এক সময়ই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডর্মে বসে। হেলেন লিখেছেন, তাঁরা পেরেছিলেন কারণ তাঁদের ঘরের কাজ সামলাতে হয়নি। পরিবারের অসুস্থ সদস্যদের দেখভাল করতে হয়নি। এখনো বিশ্বময় একই বাস্তবতা—নারীরাই ঘর সামলান এবং বাচ্চাদের দেখাশোনা করেন। করোনা ভাইরাসের সংকট বাংলাদেশে যদি দীর্ঘমেয়াদি ও ব্যাপক হয়, তাহলে যেসব পরিবারের স্বামী-স্ত্রী দুজনই চাকরি করেন তাঁদের একজনকে ঘরে থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে নারীদের চাকরি ছাড়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। আর তা তাঁরা করবেন পারিবারিক স্বার্থেই। আয়ের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষদের অসমতা এই সিদ্ধান্তের প্রভাবক হতে পারে।

সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ইবোলা, সার্স, সোয়াইন ফ্লু ও বার্ড ফ্লুর মতো মহামারিগুলোর গবেষণার ফল বলছে মহামারি পরবর্তী প্রভাব নারীদের ওপরই বেশি পড়ে। পশ্চিম আফ্রিকায় দেখা গেছে, মহামারির পর পুরুষেরা আগের আয় দ্রুত বজায় রাখতে পেরেছেন, কিন্তু নারীদের ক্ষেত্রে মহামারি-পূর্ববর্তী আয়ে ফিরতে অনেক সময় লেগেছে। বিভিন্ন গবেষণায় এও বেরিয়ে এসেছে, মহামারির সময় নারী নির্যাতনের ঘটনা বেড়ে যায়। বেড়ে যায় বাল্যবিবাহের ঘটনাও। বাংলাদেশে এসব ঘটুক আমরা তা চাই না।

এখানে দায়িত্ব নিতে হবে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর। করোনার মতো বৈশ্বিক সংকট সামলানোর দায়িত্ব যদি নারীদের নিতে হয়, সমাজ ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব হবে সংকট থেকে উত্তরণের পর তাঁদের পুরোনো ভূমিকায় ফেরানো। নারীদের জন্য যেন ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করা যায়। পরিবার পর্যায়ে পুরুষেরও কিন্তু সমান দায়িত্ব রয়েছে—নারীর পাশে থাকা, কাজ শেয়ার করা এবং সংকট নিরসনের পর নারীদের মনস্তাত্ত্বিক সহযোগিতা করার।

কোভিড-১৯ মোকাবিলা করা আমাদের জন্য এখন যেমন একটা বড় চ্যালেঞ্জ, তেমনি এটি আমাদের জন্য ভিন্নভাবে কাজ করার একটা সুযোগও তৈরি করেছে। এ ধরনের বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুতির ঘাটতিগুলো আমরা বুঝতে পারছি। এ ধরনের সংকট সামনে আরও আসবে, বিশেষজ্ঞরা এ রকম মতামতই দিচ্ছেন। সে ক্ষেত্রে আমাদের প্রস্তুতি থাকতে হবে ভিন্ন ধরনের। আমাদের সময় এসেছে দুর্যোগ ঝুঁকির অর্থায়ন (Disaster Risk Financing) নিয়ে আগাম ভাবনার, যাতে সংকটের সময় অর্থ কোথা থেকে আসবে, তা নিয়ে দুর্যোগের সময় আলোচনা করতে না হয়। সময় এসেছে বিপদাপন্ন মানুষদের নিয়ে একটি তথ্যভান্ডার (Information Bank) তৈরির, যাতে করে দুর্যোগ দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির মাধ্যমে সবচেয়ে ভুক্তভোগী জনসাধারণের জন্য অর্থ সহযোগিতা করা যায়।

করোনার মতো সংকট শহুরে প্রান্তিক মানুষদের জন্য বিশেষ সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির প্রয়োজনীয়তাকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। এই সংকট থেকে আমাদের শিখতে হবে কীভাবে দ্রুতগতিতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো যায়।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password