কেন ‘আরবীয়’ পোশাকে ক্লাসে কুয়েট ছাত্ররা ?

কেন ‘আরবীয়’ পোশাকে ক্লাসে কুয়েট ছাত্ররা ?
MostPlay

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সাইন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একটি ব্যাচের সমাপনী ক্লাসে পুরুষ শিক্ষার্থীদের পোশাক সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা তৈরি হয়েছে।

কম্পিউটার সাইন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৫ বর্ষের পুরুষ শিক্ষার্থীদের সবাই ৩০ ডিসেম্বর তাদের র‍্যাগ ডে'তে প্রথাগত আরব পুরুষদের পোশাক- থব, কেফিয়া বা কুফিয়া ও ইগাল - পরে ক্যাম্পাসে র‍্যালি করে।

এই ঘটনার দুই দিন পর, ১ জানুয়ারি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে যেখানে বলা হয় কিছু শিক্ষার্থীর 'নির্দিষ্ট' পোশাক 'বাংলাদেশের সংস্কৃতির পরিপন্থী' হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় বিব্রত হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ দপ্তর, হলের প্রভোস্ট, বিভাগীয় প্রধানের কাছ থেকে পোশাক সংক্রান্ত 'মতামত'ও গ্রহণ করার উপদেশ দেয়া হয় বিজ্ঞপ্তিটিতে।

কেন 'আরব' পুরুষদের পোশাক পরলো ছাত্ররা?
২০১৫ ব্যাচের সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ পিয়াল বিবিসিকে জানান কোনো বিশেষ উদ্দেশ্যে নয়, বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শেষদিনটি স্মরণীয় করে রাখতেই অভিনব পোশাক পরার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তারা।

"আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে গত কয়েকবছরে একটি ট্রেন্ড হয়েছে যে, র‍্যাগ ডে'তে সবাই এক রকম পোশাক পরে আসে। সেই ধারা থেকেই আমরা নতুন কিছু করার জন্য এরকম পোশাক পরে আসার সিদ্ধান্ত নেই।"

পিয়াল জানান এবছরেও অন্যান্য বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীরা বিভিন্ন এলাকার ঐতিহাসিক পোশাক পরে র‍্যাগ ডে'তে অংশ নেন।

তাই কেবল সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থীদের পোশাককে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিজ্ঞপ্তি দেয়ার বিষয়ে দুঃখপ্রকাশ করেন পিয়াল।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কী বলছে?
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিটি সম্পর্কে খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার দেবাশীষ মন্ডল বলেন, বিভিন্ন মহলের শিক্ষকদের আপত্তির কারণে বিজ্ঞপ্তিটি জারি করেছেন তারা।

"তাদের র‍্যাগ ডে'র ছবিটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে অনেকেরই সেটি নজরে আসে। অনেক শিক্ষকই এই বিষয়ে অভিযোগ ও নেতিবাচক মন্তব্য করেন, যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করে।"

তবে তিনি স্বীকার করেন যে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের পোশাক পরিধানের ক্ষেত্রে অন্যের 'মতামত' নিতে উপদেশ দেয়াটা শিক্ষার্থীদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা কিছুটা হলেও খর্ব করে।

"আসলে শিক্ষকসহ বিভিন্ন মহলের অভিযোগ আর আপত্তির ভিত্তিতে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা বৈঠক করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।" বিবিসি।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password