বাংলাদেশের ছাই নিয়ে বিশ্বে কাড়াকাড়ি

বাংলাদেশের ছাই নিয়ে বিশ্বে কাড়াকাড়ি
MostPlay

বাংলাদেশ রপ্তানিকারক সমিতির (ইএবি) সভাপতি আব্দুস সালাম মোর্শেদী বলেন, ‘কভিড-১৯-এর শত প্রতিকূলতার মধ্যেও দেশের রপ্তানি আয়ের খাত ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ছোট পণ্যগুলো বেশ ভালো করছে। সুংসবাদ হলো, করোনাভাইরাসে বিশ্ব যখন টালমাটাল, এই সময়টায় বাংলাদেশের এসব পণ্যের চাহিদা বাড়ছে।’

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান বলেন, প্রবৃদ্ধি কম হলেও বছর শেষে মোট রপ্তানিতে করোনার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে বেশ সক্ষম হয়েছে। জুন মাসে ঘুরে দাঁড়িয়েছে রপ্তানি আয়। চলতি মাসে আয় কমেছে মাত্র আড়াই শতাংশ। এ ছাড়া সরকারের দেওয়া প্রণোদনাও কাজ করতে শুরু করেছে। বৈদেশিক মিশন ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কমার্শিয়াল ইউং ও উদ্যোক্তারা রপ্তানিতে ঘুরে দাঁড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। সাত পণ্যের ইতিবাচক রপ্তানিতে বিশ্ববাজারের চাহিদা ও অভ্যন্তরীণ উৎপাদন সহায়ক ভূমিকা রেখেছে।

মহামারি করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে বিশ্বব্যাপী রপ্তানি আয়ে প্রথম তৈরি পোশাক এবং দ্বিতীয় বড় আয়ের খাত চামড়া রপ্তানিতে বড় ধরনের ধস নামলেও প্রতিকূল এই সময়ে দেশের সাত পণ্য জয় করেছে করোনা। এই সাত পণ্যের মধ্যে রয়েছে ওষুধ, পাট ও পাটজাত পণ্য, আসবাব, কার্পেট, চা, সবজি ও ছাই। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো ইপিবির ২০১৯-২০ অর্থবছরের রপ্তানি আয়ের পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে এসেছে। এতে দেখা যায়, দেশের স্বাস্থ্য খাতের পণ্য ওষুধ রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় সাড়ে ৪ শতাংশ, পাট ও পাটজাত পণ্যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ শতাংশের বেশি। সবজি রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬৪.৫৩ শতাংশ, চা রপ্তানিতে ১০.৬৪ শতাংশ, কার্পেটে ৮.৪১ শতাংশ আর ছাই রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬৪.৫৩ শতাংশ।

এসব পণ্য থেকে রপ্তানি আয় হয়েছে ১২৯ কোটি ৭৮ লাখ ডলার। এর মধ্যে ওষুধে ১৩ কোটি ৫৭ লাখ ডলার, পাট ও পাটজাত পণ্যে ৮৮ কোটি ২৩ লাখ ডলার, আসবাবে ৭ কোটি ৬৪ লাখ ডলার, চায়ে ৩১ লাখ ২০ হাজার ডলার, কার্পেটে ২ কোটি ১১ লাখ ডলার, সবজিতে ১৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার এবং ছাই রপ্তানি করে আয় হয়েছে ১ কোটি ৫২ লাখ ডলার। খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দেশের ৭৫০টি পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে ৬০০ পণ্য বাড়তি সুযোগ পায়। তাঁদের মতে, দেশের শ্রমঘন সব শিল্পেরই রপ্তানির সুযোগ আছে। এ জন্য রপ্তানি সহায়ক নীতি সহায়তা, প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা, মান সনদের গ্রহণযোগ্যতা, পণ্যের গুণগত মান বৃদ্ধি এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূর করতে হবে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password