চালের দাম আরও কমেছে

চালের দাম আরও কমেছে
MostPlay
মহামারী করোনাভাইরাস প্রকোপের মধ্যে দফায় দফায় অস্বাভাবিক দাম বাড়ার পর এখন কমছে চালের দাম। ১০ দিনের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারে দুই দফায় কমেছে চালের দাম। এর মাধ্যমে করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হওয়ার আগের দামে ফিরে গেছে বেশিরভাগ চালের দাম। একদিকে চাহিদা কম অন্যদিকে বাজারে নতুন ধানের চাল আসায় এই দাম কমছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। চালের খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ১০ দিনের ব্যবধানে দুই দফায় চালের দাম কেজিতে কমেছে ১০ টাকা পর্যন্ত। এর মধ্যে গত দুই দিনে কেজিতে চালের দাম কমেছে তিন টাকা। তবে কিছু কিছু পুরনো চাল এখনো এক সপ্তাহ আগের দামে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনাভাইরাস আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার শুরুতেই চাল বিক্রি বেড়ে যায়, এতে দামও বাড়ে। এরপর বিক্রি কমলে মাঝে দাম কিছুটা কমে। তবে রোজার আগে আবার চালের চাহিদা বাড়ায় দাম বেড়ে যায়। এখন বাজারে নতুন চাল আসছে, কিন্তু বিক্রি অনেক কমে গেছে। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজারের খুচরা ব্যবসায়ীদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে মিনিকেট ও নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৫ টাকা কেজি, যা দুই দিন আগে ছিল ৫৫ থেকে ৫৮ টাকা এবং রোজা শুরু হওয়ার আগে ছিল ৬২ থেকে ৬৮ টাকা কেজি। করোনার শুরুতে ছিল ৫৬ থেকে ৬০ টাকা এবং করোনার আগে ছিল ৫২ থেকে ৫৫ টাকা কেজি। অর্থাৎ রোজায় দুই দফায় কেজিতে ১০ টাকা কমে চিকন চাল এখন করোনার আগের দামে ফিরে গেছে। দাম কমার তালিকায় রয়েছে মাঝারি মানের পাইজাম ও লতা। বর্তমানে মাঝারি মানের চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪২ থেকে ৪৪ টাকা, যা দুই দিন আগে ছিল ৪৪ থেকে ৪৮ টাকা এং রোজার আগে ছিল ৪৮ থেকে ৫৬ টাকা। আর করোনার আগে ছিল ৪২ থেকে ৪৫ টাকা। অর্থাৎ দুই দফায় দাম কমে মাঝারি মানের চালও করোনার আগের দামে ফিরে গেছে। তবে নতুন করে গরিবের মোটা চালের দাম কমেনি। গত সপ্তাহের মতো মোটা চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৬ থেকে ৪০ টাকা, যা রোজার আগে ৫০ টাকা পর্যন্ত উঠে ছিল। আর করোনার আগে ছিল ৩২ থেকে ৩৫ টাকার মধ্যে

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password