দাম বাড়ছে ডলারের

দাম বাড়ছে ডলারের
MostPlay

দেশের রপ্তানি কার্যক্রমে ধস নেমেছে করোনাভাইরাস নামের অদৃশ্য দৈত্যের ছোবলে। যত বিপর্যয় হোক জীবন যেহেতু থেমে থাকে না সেহেতু ভোগ্যপণ্যের আমদানি সমানে চলছে। আমদানি হচ্ছে মূলধনি পণ্য। ফলে প্রতিদিনই দাম বাড়ছে ডলারের। বিভিন্ন ব্যাংকে ডলার বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৮৮ টাকা পর্যন্ত, যা এক মাস আগেও ছিল ৮৬ টাকায়। আমদানি দায় পরিশোধে বাড়তি মূল্যে ডলার কিনতে গিয়ে আমদানিকারকদের বাড়তি অর্থ গুনতে হচ্ছে। কিছু ব্যাংক সংকটের কারণে খুচরা বাজার থেকে ডলার কিনছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বাজারের চাহিদা মেটাতে ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করলেও সংকট কমছে না। চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে রপ্তানি কম।

করোনাভাইরাসের কারণে ধস নেমেছে। রেমিট্যান্স প্রবাহও কমে গেছে। তার পরও পরিশোধ করতে হচ্ছে আমদানি ব্যয়। যেসব আমদানি এলসি আগে করা হয়েছিল সেগুলো এখন নিষ্পত্তি করতে হচ্ছে। ফলে বাজারে ডলারের সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এতে অনেক ব্যাংক আমদানি ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে। আন্তব্যাংক রেটে ডলারের দাম ৮৪ টাকা ৯৫ পয়সা হলেও বেশ কিছু ব্যাংক ডলার সংকটে আমদানি দায় পরিশোধে ডলারের মূল্য নিচ্ছে ৮৭ টাকা পর্যন্ত। খুচরা পর্যায়ে দাম আরও বেশি। কোনো কোনো ব্যাংক খুচরা ডলার বিক্রি করছে ৮৮ থেকে ৮৮ দশমিক ৫০ পয়সা পর্যন্ত, যা এযাবৎকালে সর্বোচ্চ। ডলারের মূল্যবৃদ্ধি দেশের অর্থনীতির জন্য উদ্বেগ সৃষ্টি করছে। বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত বৈদেশিক মুদ্রার মূল্যবৃদ্ধি মানেই টাকার দাম হ্রাস পাওয়া। সোজা কথায়, চাকরিজীবী ও শ্রমজীবীদের আয়ের ওপর বড় ধরনের ব্যাঘাত ঘটা। করোনাকবলিত সময়ে দেশের রপ্তানি আয়ে বিপর্যয় নেমে আসায় লাখ লাখ মানুষের জীবিকা অনিশ্চিত হয়ে উঠেছে।

রপ্তানিতে মহাধস নামায় আমদানিকৃত পণ্যের দায় পরিশোধে জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। সন্দেহ নেই, বাংলাদেশের রিজার্ভের অবস্থা বেশ ভালো। কিন্তু দুই মাস সারা দেশ লকডাউনের পর সংকট দীর্ঘায়িত হলে তা অর্থনীতির জন্য বিসংবাদ হয়ে দেখা দেবে। দীর্ঘদিন ধরে ডলারের বিপরীতে টাকার মান ধরে রাখার যে সাফল্য অর্জিত হয়েছে তাতে চিড় ধরবে। এ পরিস্থিতির মোকাবিলায় রপ্তানির বদ্ধদ্বার দ্রুত খোলার উদ্যোগ নিতে হবে। অচল উৎপাদন ব্যবস্থা সচল করার ব্যাপারেও যতœবান হওয়া জরুরি।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password