সেই সাজুর ‘আশার আলো প্রভাতী সংস্থা’ অবৈধ

সেই সাজুর ‘আশার আলো প্রভাতী সংস্থা’ অবৈধ
MostPlay

মন্ত্রী, এমপি, ডিসি, এসপি সব আমার নিয়ন্ত্রণে চলে’ বলে বক্তব্য দিয়ে আলোচিত ডা. মো. শফিকুল ইসলাম সাজুর গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ডাকাবাংলা বাজারে অবস্থিত আশার আলো প্রভাতী সংস্থা সম্পূর্ণ অবৈধ। এ সংস্থার বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।

সোমবার (২ মার্চ) বিকেলে আশার আলো প্রভাতী সংস্থার বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তে সাঘাটা উপজেলা সমাজসেবা অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) শাকিল আহম্মেদ।

 

গাইবান্ধা জেলা সমাজসেবা অফিসার মো. এমদাদুজ্জামান প্রামানিক জাগো নিউজকে জানান, আশার আলো প্রভাতী সংস্থা গাইবান্ধা শহরের খানকা শরীফ এলাকার সেচ্ছাসেবী সংগঠন গাইবান্ধা ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (জিডিও) লাইসেন্স ব্যবহার করে জেলার সাত উপজেলায় কার্যক্রম চালিয়ে আসছে বলে অভিযোগ ওঠে। এ প্রসঙ্গে গাইবান্ধা ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনকে (জিডিও) প্রয়োজনীয় কাগজসহ তলব করা হয়। তারা জেলা সমাজসেবা অফিস বরাবর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেয় এবং আশার আলো প্রভাতী সংস্থার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই মর্মে প্রতিবাদ লিপি দেয়। আশার আলো প্রভাতী সংস্থা সম্পূর্ণ অনৈতিকভাবে গাইবান্ধা ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (জিডিও) নাম ও লাইসেন্স ব্যবহার করে আসছে । তাই আশার আলো প্রভাতী সংস্থা সম্পূর্ণ অনৈতিক একটি সংস্থা।

তিনি আরও জানান, এ সংস্থা যাতে জেলার কোথাও কাজ করতে না পারে সে ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। তাদের বিরুদ্ধে সব ধরনের আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

উলেখ্য, আশার আলো প্রভাতী সংস্থার চেয়ারম্যান ডা. মো. শফিকুল ইসলাম সাজু জেলার সাত উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের এক লাখ অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ, চাল, ঢেউটিনসহ বিভিন্ন সামগ্রী বিতরণের নামে ভর্তি ফি বাবদ ৫২০ টাকা এবং মাসিক সঞ্চয় হিসেবে ৫০ টাকা কল্যাণী ভাতার জামানত ৬ হাজার টাকা, চিকিৎসা ও শিক্ষাসহ বিভিন্ন ভাতার কথা বলে ১৫ থেকে ২০ কোটি টাকা উত্তোলন করে করেছেন। সমিতিতে ভর্তি ও সঞ্চয়ের টাকা সংগ্রহে কয়েকশ কর্মী জেলার বিভিন্ন প্রান্তে কাজ করছে। প্রতি কর্মীকে মাসে ৬ থেকে ৮ হাজার টাকা বেতনে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে প্রতিদিন ৫ হাজার টাকা উত্তোলনের টার্গেট দিয়েছেন সংস্থার চেয়ারম্যান। ডা. শফিকুলের বাড়ি সাঘাটা উপজেলার ঘুড়িদহ ইউনিয়নের ঘুড়িদহ গ্রামে। তিনি গাইবান্ধা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান সরকারের ছোট ভাই।

গত ২১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় সাঘাটা উপজেলার ডাকবাংলা বাজারে আশার আলো প্রভাতী সংস্থার এক কর্মী সমাবেশে ডা. শফিকুল বলেন, ‘গাইবান্ধা ডিস্ট্রিক্টের ডিবি (পুলিশ) কন, ওসি কন, এসপি কন, ডিসিসহ যতো কিছুই কন সব আমাদের নিয়ন্ত্রণে চলে। সাত উপজেলায় এমপি, মন্ত্রী, চেয়ারম্যান- যতো কিছুই থাক না কেন, আমার চেয়ে বড় মাইকেল কেউ নেই। আমি চ্যালেঞ্জ দিলাম কোনো এমপি-মন্ত্রী যদি আমার সঙ্গে টিকে থাকতে পারে, তাহলে সংস্থা থেকে পদত্যাগ করবো।’

তার এই বক্তব্য নিয়ে শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিডিটাইপে প্রকাশ কর হয়। এরপর আলোচনায় আসে ডা. শফিকুল ইসলাম সাজু ও তার আশার আলো প্রভাতী সংস্থা।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password