এমন মৃত্যু কারও ভাগ্যে যেন না থাকে

এমন মৃত্যু কারও ভাগ্যে যেন না থাকে
MostPlay

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া রামপুরা ভাটিয়ালি এলাকায় বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত ছয় জনের বাড়ি নারায়ণগঞ্জে। দুর্ঘটনায় স্বজন হারানোর পর প্রত্যেকের বাড়িতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। সন্তানহারা মা-বাবা ও স্বজনের আর্তনাদে ভারী হয়ে ওঠেছে বাতাস। তারা বলছেন, এমন মৃত্যু যেন কারও ভাগ্যে না থাকে।

বন্দরের দেউলী এলাকা থেকে হযরত শাহজালাল ও শাহ পরানের মাজার জিয়ারতসহ সিলেটে বেড়াতে গিয়েছিলেন চালকসহ ১০ জন। যাদের বয়স ১৭-২২ বছরের মধ্যে। বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) রাত ১১টায় বন্দর থেকে রওনা হয়ে রাত ২টার দিকে দুর্ঘটনায় পড়ে মাইক্রোবাসটি। ঘটনাস্থলেই চালকসহ ৫ জন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও একজনের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত চার জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতরা প্রত্যেকেই দরিদ্র পরিবারের। এদের মধ্যে অনেকেই ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি।

নিহত ইমনের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে তার মা রাহেলা বেগম পাগলের মতো কাঁদছেন। তাকে সান্ত্বনা জানানোর ভাষা কারও নেই। সান্ত্বনা দিতে আসা মানুষগুলোরও চোখের পানি ঠেকাতে পারেননি।

একই অবস্থা রিফাত ও সোহানের বাড়িতে। সোহানের মা সখিনা বেগম কাঁদতে কাঁদতে বারবার রাস্তার দিকে ছুটে যাচ্ছিলেন আর বলছেন, ‘এই বুঝি আমার সোহান আসছে।’ তাকে ধরে আনতে পেছনে পেছনে ছুটছেন স্বজনরা। স্বজনরা জানান, চার ভাইবোনের মধ্যে সোহান সবার বড়। তার উপার্জনেই চলতো সংসার। এখন কীভাবে চলবে সংসার সেই চিন্তায় পুরো পরিবার।

বন্দর নবীগঞ্জ এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে সাগর। সাগরের হোটেলের ওপরেই নির্ভরশীল ছিল পুরো পরিবার। উপার্জনক্ষম ছেলেকে হারিয়ে পরিবার অথৈই সাগরে ভাসছে।

এদিকে, নারায়ণগঞ্জের পাগলা এলাকার আইএফআইসি ব্যাংকের অফিস সহকারী আব্বাস উদ্দিন ও তার পরিবারের সদস্যরা ছেলের বিয়ের আংটি পরাতে সুনামগঞ্জে যাচ্ছিলেন। গাড়িটি হবিগঞ্জে গেলে অপর একটি বাসকে সাইড দিতে গিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একই পরিবারের ৭ সদস্যসহ ৯ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনার পর আব্বাস উদ্দিনের পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password