‘করোনা নিয়ে সরকারের উদাসীনতা জনগণ ক্ষমা করবে না

‘করোনা নিয়ে সরকারের উদাসীনতা জনগণ ক্ষমা করবে না
MostPlay

করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য যে প্রাকপ্রস্তুতির প্রয়োজন ছিল সেটি নিতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘করোনা নিয়ে সরকারের উদাসীনতা জনগণ ক্ষমা করবে না।’

মঙ্গলবার (১০ মার্চ) সকালে নয়াপল্টনে করোনাভাইরাস নিয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে ফখরুল এসব কথা বলেন। এসময় বিএনপির পূর্বঘোষিত সব কর্মসূচিও স্থগিত করেন তিনি।

মির্জা ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, দেশের অনেক বিশেষজ্ঞ ও প্রতিষ্ঠান বেশ কিছু দিন ধরে করোনা আক্রান্তের সম্ভাবনার কথা বার বার বললেও সরকার শুধু জনগণকে আস্তস্থই করে গেছে, কাজের কাজ কিছুই করেনি।

তিনি বলেন, ইতালী থেকে আগত দুই ভাইয়ের রোগ বিমানবন্দরে শনাক্ত হয়নি। দেশে ফেরার ৪ দিন পর যখন তাদের অবস্থার অবনতি হয় তারাই চিকিৎসায় উদ্যোগী হয়েছেন। তখন সরকার তাদের হাসপাতালে স্থানান্তর করেছে। তাদের একজনের স্ত্রী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের সংস্পর্শে যারা এসেছিল তাদের কোয়ারেন্টাইনে না নেওয়া সরকারের আরেকটি ব্যর্থতা। ৩ দিন পর সোমবার মাত্র ৪০ জনকে কোয়ারেন্টাইনে নেওয়ার কথা জানা গেল।

বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করে বলেন, এখন পর্যন্ত সামান্য যে কয়েকটি হাসপাতালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার কথা বলা হচ্ছে সেগুলোর মান এবং আক্রান্তদের সুচিকিৎসা দেওয়ার সামর্থ নিয়ে প্রশ্ন আছে। অন্যদিকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতা থেকে ওষুধ, যন্ত্রপাতি, ডাক্তার ও নার্সদের প্রশিক্ষণ এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা নেওয়ার জরুরি দায়িত্ব সরকার পালন করতে পারেনি। ফলে ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়লে নিশ্চিতই দেশবাসী গণহারে অকাল মৃত্যুর শিকার হতে পারেন।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের ব্যাপারে জনসচেতনতা নিশ্চিত করার জন্য মিডিয়াসহ সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে যেমন ত্বরিৎ ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন ছিল- তাও নেয়া হয়নি। মুজিববর্ষ পালনের ডামাডোলে জনস্বার্থ অবহেলা করে সরকার দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে। করোনা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য যে প্রস্তুতি প্রয়োজন ছিল তাও নিতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার।

ফখরুল বলেন, এমন পরিস্থিতিতে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের প্রয়োজন বাড়বে জানা সত্ত্বেও তা যথেষ্ট পরিমাণে আমদানি কিংবা উৎপাদনের কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় গত পরশু সন্ধ্যার মধ্যেই বাজারে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের দাম কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। চার-পাঁচ টাকার মাস্ক ৫০/৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে এবং সন্ধ্যার পর বাজারে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার পাওয়া যায়নি। ফলে লাখো মানুষ বিনামাস্কে এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজারে জীবিকার তাগিদে জনবহুল স্থানে গমনাগমন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি নিতে বাধ্য হয়েছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password