ব্যক্তিগত গাড়িতে যাত্রী তুলে ছিনতাই ও হত্যা, গ্রেপ্তার ২

ব্যক্তিগত গাড়িতে যাত্রী তুলে ছিনতাই ও হত্যা, গ্রেপ্তার ২
MostPlay

ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে ব্যক্তিগত গাড়িতে যাত্রী বহনের নামে ছিনতাই, হত্যা, অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায় চক্রের অন্যতম দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা জেলা উত্তরের গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে নগদ ২০ হাজার টাকা, অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের কাজে ব্যবহৃত ব্যক্তিগত গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে সাভার মডেল থানায় সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য দেন ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, গত ৯ ফেব্রুয়ারি আশুলিয়ার নবীনগর থেকে মানিকগঞ্জ জেলায় কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল লিটন মহান্তোকে যাত্রী বহনের নামে অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা কৌশলে নিজেদের ব্যক্তিগত গাড়িতে উঠিয়ে নেয়। কিছুদূর যাবার পর পথিমধ্যে আরো ২/৩ জন ছিনতাইকারী যাত্রীবেশে একই গাড়িতে ওঠে। পরে ওই পুলিশ সদস্যের হাত-পা বেঁধে তাকে হত্যার ভয় দেখিয়ে পরিবারের নিকট থেকে বিকাশের মাধ্যমে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায় করে নেয় চক্রটি।

 এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করলে তদন্তে নামে ঢাকা জেলা উত্তরের গোয়েন্দা পুলিশ। পরবর্তীতে ১৭ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মিরপুর ২ পোস্ট অফিসের সামনে থেকে ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত ব্যক্তিগত গাড়িটিসহ এর চালক মুর্তুজাকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই রাতে গোয়েন্দা পুলিশের অন্য একটি দল পুলিশের অন্য চাঁদপুরের সরদারকান্দি গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে শাহীনকে গ্রেপ্তার করে। আটক মুর্তুজা (৩৫) মাদারীপুরের কালকিনি থানার পূর্বমাইজপাড়া গ্রামের ইস্কান্দার আলীর ছেলে ও শাহীন ওরফে সুহিন খান (৩৪)  চাঁদপুর জেলার মতলব থানার সারদারকান্দি গ্রামের মুকিত খানের ছেলে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ ঘটনা ছাড়াও গত ১৮ অক্টোবর ধামরাইয়ের জয়পুরায় আলাউদ্দীন হত্যাকাণ্ড ও ২ ফেব্রুয়ারি নবীনগর থেকে আবু নাইম নামে এক ব্যক্তিকে যাত্রী হিসাবে ব্যক্তিগত গাড়িতে তুলে ছিনতাইয়ের ঘটনায় ধামরাই থানায় দায়ের হওয়া দুই মামলার ঘটনায় জড়িত বলে স্বীকার করে তারা। 

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আরো জানান, এই চক্রের সদস্যরা হত্যাসহ একাধিক অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের সাথে জড়িত। চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

 

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password