ফের মধুর ক্যান্টিনে ককটেল বিস্ফোরণ

ফের মধুর ক্যান্টিনে ককটেল বিস্ফোরণ
MostPlay

ফের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে ককটেল হামলার ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে এ ঘটেছে বলে জানা গেছে। এর আগে গত ২৬ ডিসেম্বর প্রথম দফায় ককটেল হামলার ঘটনা ঘটে। দুই দফায় ঘটা এই হামলার ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করতে পারেনি প্রশাসন।

তবে কে বা করা এই হামলার সঙ্গে জড়িত সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। ঘটনার বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রাব্বানীর সঙ্গে বাংলাদেশ জার্নালের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আজ তিনটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়েছে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। আমরা এই ঘটনার জন্য মামলা দায়ের করার চিন্তা ভাবনা করছি।’

প্রক্টর এই হামলাকে বর্ণনা করেছেন ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে যে বিবাদমান সন্ত্রাসী মানসিকতা বিকশিত হয়েছে তার অংশ হিসেবে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ধারাবাহিক যে ঘটনা ঘটছে সে বিষয়টি মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘এখানে কেউ তার সাংগঠনিক রাজনীতির উদ্দেশ্যে এই ঘটনা ঘটাচ্ছে। এতে সবাই আশঙ্কিত। ইতোমধ্যে গোয়েন্দা ও পুলিশকে বলা হয়েছে, এই বিষয়ে কাজ করার জন্য।’

তিনদিনের মাথায় দ্বিতীয় দফায় এই হামলার জন্য ছাত্রদলকে দুষছেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতারা। তারা দাবি করছেন, পদবঞ্চিত ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ককটেল হামলা চালিয়েছে। ছাত্রদল বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার পায়তারা করছে।

তবে অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব আমান উল্লাহ আমান বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, ‘ছাত্রদল এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। পদবঞ্চিতদের কথা বলা হচ্ছে। কেউ যদি পদবঞ্চিত হয় তবে সে কমিটির বিরুদ্ধে মিছিল করবে, নিয়মতান্ত্রিকভাবে প্রতিবাদ করবে। ক্যাম্পাসে সিসিটিভি আছে। আমরা প্রক্টর স্যারকে বলেছি, যারাই এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক।’

ডাকসুর এজিএস ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, ‘কর্মীর দায় সংগঠনের উপরও বর্তায়। সুতরাং পদবঞ্চিত কেউ যদি এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকে তবে তা ছাত্রদলের উপরই বর্তায়। পদবঞ্চিতদের এই হামলা প্রকারান্তরে ছাত্রদলেরই হামলা। সুতরাং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরণের হামলা মেনে নেওয়া হবে না।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password