আবারও সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যা বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাজশাহীর সোনাইকান্দি বিওপির ওপারে পদ্মার চরে সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক বিএসএফ এই প্রতিশ্রুতি দেয়।বিএসএফের বহরমপুর সেক্টরের ডিআইজি কুনাল মজুমদারের নেতৃত্বে এতে বিএসএফ ৩৫ ব্যাটালিয়নের শীর্ষ কর্মকর্তারা অংশ নেন। ওই বৈঠকে বিজিবির প্রতিনিধিত্ব করেন রাজশাহী সেক্টর কমান্ডার কর্নেল তুহিন মাসুদ।
কর্নেল তুহিন মাসুদ বলেন, বৈঠকে বিজিবির পক্ষ থেকে দুইটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উপস্থাপন করা হয়। এর একটি হলো সীমান্ত হত্যা এবং অপরটি অনুপ্রবেশ করে বাংলাদেশীদের ধরে নিয়ে যাওয়া।বিএসএফকে জানানো হয়, গেল এক মাসে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ সীমান্তে অন্তত নয়জন বাংলাদেশী নিহত হয়েছে। যা অনাকাঙ্ক্ষিত। কেউ ভুল করে ভারতীয় সীমানায় অনুপ্রবেশ করলে রেওয়াজ অনুযায়ী পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির কাছে হস্তান্তরের অনুরোধ জানানো।
দ্বিতীয় বিষয় হলো, গেল ৩১ জানুয়ারি পবা উপজেলার সোনাইকান্দি বিওপি এলাকার পদ্মা থেকে ৫ জেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গ। বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফ কমান্ডারকে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের ভেতরে পদ্মা নদীতে স্পীড বোর্ডে তেড়ে এসে তাদের ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ। ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনার ফুটেজও দেখানো হয় বিএসএফকে।এ ঘটনায় প্রথম দফা পতাকা বৈঠকে বসার প্রতিশ্রুতি দিলেও বিএসএফ হাজির হয়নি। পরে দ্বিতীয় দফায় পতাকা বৈঠক হলেও বাংলাদেশী পাঁচ জেলেকে এখন পর্যন্ত মুক্তি দেয়া হয়নি। বরং উল্টো ভারতীয় ভূ-খণ্ডে অনুপ্রবেশের অভিযোগ এনে তাদেরকে মুর্শিদাবাদ পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।
কর্নেল তুহিন মাসুদ আরও বলেন, এ দুটি বিষয়ের জবাবে সীমান্ত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে বিএসএফ পাল্টা অভিযোগ করেছে। বিএসএফ বলেছে, গরু চোরাকারবারীরা বিএসএফের বাধা উপেক্ষা করে ভারতে ঢুকে পড়ে। অনেক সময় চোরাকারবারীরা হামলাও করে, তখন বাধ্য হয়ে গুলি চালানো হয়।এ বৈঠকের পর সীমান্তে সহবস্থান নিশ্চিত করার ব্যাপারে বিএসএফ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলে জানান এই বিজিবি কর্মকর্তা।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন